আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস আজ

0
2
আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস আজ

প্রকাশিত : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(হেমন্তকাল)।। ২৯ জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : আজ ০২ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।

১৯৪৯ সালের এই দিনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাসত্ব বিলোপ করতে বিশ্বব্যাপী দাসপ্রথা ও ব্যবসা নিষিদ্ধকরণের ওপর কনভেনশন গৃহীত হয়। এজন্য আজকের এ দিনটি বিশ্বব্যাপী দাসত্ব বিলুপ্তি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- মানবপাচার, যৌনদাস, জবরদস্তিমূলক শিশুশ্রম, বলপ্রয়োগে বিয়ে ও যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানো। সবচেয়ে বড় কথা, মানবপাচার হয়ে গেছে এখন আধুনিক বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। একে ক্রীতদাস প্রথার নতুন রূপ বলেই অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ১৭৯১ সালে বর্তমান হাইতি ও ডোমিনিকান রিপাবলিকান অঞ্চলে প্রথমে দাসপ্রথার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮০৭ সালে ব্রিটেন এবং ১৮০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকান দাসদের মুক্তি দেয়। দাসত্ব বিলোপের সংগ্রাম তুঙ্গে উঠলে প্রথম যেসব দেশ এই দাসপ্রথা বিলুপ্তি ঘোষণা করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মেক্সিকো, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, সুইডেন।

 

১৮২৯ সালে মেক্সিকো, ১৮৪৩ সালে ব্রিটেন, ১৮৪৬ সালে সুইডেন, ১৮৪৮ সালে ফ্রান্স ও ডেনমার্ক, ১৮৫৩ সালে আর্জেন্টিনা, ১৮৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ১৮৮৬ সালে কিউবা, ১৮৮৮সালে ব্রাজিল, ১৮৯৬ সালে মাদাগাস্কার দাসপ্রথা বিলোপ করে।

এশিয়ায় দাস প্রথা বিলোপের বাতাস লাগে আরো অনেক পরে। ১৯১০ সালে চীন দাস প্রথা বিলোপের পর ১৯২৬ সালে নেপাল, ১৯২৩ সালে আফগানিস্তান, ১৯২৪ সালে ইরাক, ১৯২৮ সালে ইরান, ১৯২৯ সালে মিয়ানমার, ১৯৬২ সালে সৌদি আরব, ১৯৬৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত দাসপ্রথা বিলোপ করে।

এখনও বিশ্বের এক কোটি ২০ লাখ মানুষ জোরপূর্বক শ্রম, দাসত্ব ও দাসত্ব সংশ্লিষ্ট প্রথার কাছে বন্দি। সমাজবিজ্ঞানীদের অভিমত হচ্ছে- দাসপ্রথার ভয়াবহতা এখন না থাকলেও এর রূপান্তর ঘটেছে, কিন্তু সমাজে তা এখনও বিদ্যমান। তাদের মতে, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে দাস রয়েছে। তারা হচ্ছে, আমরা যাদের কাজের লোক বলি।

দাসত্ব বলতে বোঝায় কোনো মানুষকে জোর করে শ্রম দিতে বাধ্য করা এবং এক্ষেত্রে কোনো মানুষকে অন্য মানুষের ‘অস্থাবর সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করা। এই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ ব্যক্তিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই স্থান বা মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায়। তাদের শ্রমের কোনো মজুরিও নেই।

অতীতে কোনো কোনো সমাজে নিজের দাসকে হত্যা করাও আইনসঙ্গত ছিল। সেসব বর্বরতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি, এটা ঠিক। তবে ক্রীতদাস প্রথার যে আধুনিক রূপান্তর, তার থেকে মুক্তির উপায় বের করতে হবে। মানব-সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন

জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন