প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(শরৎকাল)।। ১২ জমাদিউল–আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর :অনলাইন ডেস্ক : সেদিনটাও ছিলো ১৫ই নভেম্বর, ১৯১৩ সাল। সূয্যি মামা পাটে যেতেই আকাশে পূর্ণিমার হলুদ চাঁদ উঠেছে। বোলপুর রেললাইনের পুব পাড় ধরে মোটর গাড়িতে চড়ে জোব্বা উড়িয়ে কবিগুরু চলেছেন পারুলবনের দিকে। সঙ্গে কয়েকজন বিদেশি অতিথি, এস্রাজ নিয়ে গানের ভাণ্ডারী দিনুঠাকুর, ছেলে রথী আর সচিব নেপালচন্দ্র।
পথে দেখা বোলপুরের ডাক পিওনের সঙ্গে। কবি তাঁকে দেখে গাড়ি থামাতে বলে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘কোনও সংবাদ আছে?’’
‘‘ আজ্ঞে। কলকাতা থেকে তার আছে আপনার।’’
টেলিগ্রাম হাতে পেয়েও কবি তখনই খুললেন না। দেরি হবে ভেবে জোব্বার পকেটে রেখে দিলেন কাগজখানা। কিন্তু সকলের কৌতূহল থামে না। এখন টেলিগ্রাম..!!
সবার অনুরোধে চাঁদের আবছা আলোয় বনপথেই টেলিগ্রাম খুললেন কবি।
প্রথমে বিশ্বাস হয়নি!
তিনি প্রিয় মানুষ পাঠানো সু-সংবাদ পড়ে বলে উঠলেন, “ উঁহু, সম্ভবত টেলিগ্রামের ভাষায় ভুল আছে বুঝলে!”
সকলের উৎসুক চোখ কবির মুখের দিকে! ফের পড়লেন তিনি।
তারপর নেপালবাবুর দিকে এগিয়ে দিলেন কাগজখানা। মৃদু হেসে বললেন এই দিয়ে আশ্রমের নালা সারানোর খরচ কুলিয়ে যাবে, কি বলেন?
রথীন্দ্র দেখলেন কাগজে লেখা, “ নোবেল প্রাইজ কনফারমড অন ইউ, আওয়ার কনগ্র্যাচুলেশনস..।”
প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ও এশিয়া বাসী রূপে নোবেল পুরস্কার পেলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অর্থমূল্য ছিল এক লাখ বিশ হাজার টাকা! এর সাথেই ভারতের মাটিতে সূচনা হলো এক নতুন অধ্যায়ের..
তথ্যসূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
সংকলনে স্বপন সেন
সৌজন্য ঃ এক যে ছিলো নেতা
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor