সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি আন্তর্জাতিক পুরস্কার “মাউন্ট এভারেস্ট”পদক জয়

0
62

প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার,২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।  

বিক্রমপুর খবর: স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয়বারের মতো নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে হয়ে গেল পাঁচ দিনব্যাপী ‘নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। যেখানে প্রতিযোগিতা বিভাগে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাউন্ট এভারেস্ট’পুরস্কার জিতে নেয় সুর্বণা সেঁজুতি তুসির ‘মীনালাপ’।

২১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাঠমান্ডুতে বসেছিলো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রটি। যা শেষ হয়েছে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি)।এতে দেখানো হয় দেশ বিদেশের বেশকিছু পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

ব্যতিক্রমী এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশি নির্মাতা সুবর্ণা সেঁজুতি টুসির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মীনালাপ’।

গত ২১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি কাঠমন্ডুতে অনুষ্ঠিত নেপাল আন্তরাষ্ট্র চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমন্ডলী সর্বসম্মতিক্রমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট দিয়ে মীনালাপকে সেরা ছবির অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। টুসিকে দেওয়া হয়েছে বেস্ট অ্যওযার্ড “মাউন্ট এভারেস্ট”পদক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,ইতোমধ্যে বিক্রমপুরের তথা বাংলাদেশের প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতা সুবর্ণা সেঁজুতি টুসির মীনালাপ পুরস্কার জিতেছে। জিতেছে ১৭তম থার্ড আই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল আয়োজনে। মীনালাপ এ উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির প্রতিযোগিতায় জিতে নিয়েছে সেরা ছবির মর্যাদা।

উৎসবে বিভিন্ন দেশের মোট ২৪টি ছবির মধ্যে টুসির মীনালাপের ‘বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে আরও উচ্চতায়। মীনালাপ প্রথম পুরস্কার জিতেছে কাজাখস্তানে ১৪তম ইউরেশিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। আয়োজনে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে গ্র্যান্ড প্রিক্স জিতেছিল মীনালাপ।

এরপর তাজিকিস্তানের অষ্টম ডিডোর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ক্রিটিক চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিল মীনালাপ।

তারপর শিলিগুঁড়ি আন্তর্জাতিক শর্ট অ্যান্ড ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভালেও সেরা ‘শর্ট ফিকশন অ্যাওয়ার্ড’জিতেছে।

‘মীনালাপ’একটি সামাজিক সম্পর্কের গল্প। ২৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মীনালাপ’ চলচ্চিত্রটির গল্পটি আবর্তিত-বিবর্তিত হয়েছে এক বাঙালি দম্পতিকে ঘিরে।পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পুনে এসে তাদের যে সংকট, এটাই ছবির গল্প। মূলত বাংলায় উপস্থাপিত এই ছবির মূল দুই চরিত্র বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা পশ্চিম বাংলার কোনো একটা এলাকা থেকে পুনেতে আসে।

ওদের মুখে নদীয়ার ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া মারাঠি এবং হিন্দির অল্প বিস্তর ব্যবহার করা হয়েছে। ‘মীন’ মানে মাছ। মীন-আলাপ হলো মাছের আলাপ। মাছেরা ঠিক কথা বলে না, শব্দ সৃষ্টি করে। আবার ডিম দেয়ার সময় হলে মাছ স্বাদু পানিতে চলে আসে। ছবির বাঙালি নারীটিও সন্তান সম্ভাবনা, সেও অভিবাসী হয়েছে।

চলচ্চিত্রটি পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যও করেছেন সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি। ছবিটির প্রধান চরিত্রগুলোতে আছেন তিতাস দত্ত, প্রমিত দত্ত, বিবেক কুমার ও দেভাস দীক্ষিত।

স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি মীনালাপের জন্য এই নিয়ে পাঁচবার সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতলো।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন