প্রকাশিত: সোমবার,২ নভেম্বর ২০২০ইং ।।১৭ই কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।।১৫ই রবিউল আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : শ্রীনগর প্রতিনিধি : শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকার পদ্মা নদীর চাঁনগাঁও চরে মা ইলিশ ক্রয় বিক্রয় ও জাল পাতাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিম গ্রুপ ও নুরু বয়াতি গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার দুপুরের দিকে চাঁনগাঁও চরে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় নাদিম বেপারী গ্রুপের নাদিম বেপারী, সোহেল বেপারী, রুবেল খা, আবুল, হাবিব, আলমগীর, মিরাজ এবং অপরদিকে নুরু বয়াতি, রাসেল, সোহেল, জসিম, আমরিয়া বেগম, সাহিদা ও আঞ্জুমান আহত হয়। আহতরা শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিম বেপারী গ্রুপের সোহেল বেপারী ও রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এলাকার অসাধু জেলে ও এক শ্রেণির লোভী মানুষ মা ইলিশ ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। প্রায় সময়ই এসব দালালদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষ পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরগুলোতে মা ইলিশ কিনতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে নাদিম বেপারী তার লোকজন নিয়ে চরে গেলে নূরু বয়াতি গ্রুপের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিম বেপারীর কাছে জানতে চাইলে সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমিও আহত হয়েছি। নূরু বয়াতির সহযোগিতায় চরে মা ইলিশ কেনা বেচা ও জাল পাতা নিয়ে ২/৩ দিন আগে নূরু বয়াতি স্থানীয় কয়েকজনকে মারধর করে। রোববার ঘটনাস্থলে গেলে তার আগে হামলা করলে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সোহেল বেপারীর ভাই বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে নূরু বয়াতির সাথে যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ভাগ্যকুলের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত জানান, জাল পাতাকে কেন্দ্র করে নূরু বয়াতির সাথে ঝামেলা চলছিল। মিমাংসার জন্য গেলে নুরু বয়াতির লোকজন হামলা চালায়।
শ্রীনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় আমরা পদ্মা নদীতে অভিযান চালাচ্ছি। তবে চরের মধ্যে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খরব লোক মুখে শুনেছি।
এ ব্যাপরে শ্রীনগর থানা ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’