প্রকাশিত : সোমবার, ১০ আগস্ট ২০২০ইং ।। ২৬শে শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক : রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য গীতিকার ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলাউদ্দীন আলীর জামাতা কাজী ফায়সাল আহমেদ।
বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত গীতিকার ,সুরকার ,সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী আর নেই( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।গতকাল রোববার (৯ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । রাতে মরদেহ রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।
আলাউদ্দিন আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বরে বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সাংস্কৃতিক পরিবারে। তার বাবা ওস্তাদ জাদব আলী ও মা জোহরা খাতুন।
সোমবার দুপুর সোয়া ২টার পরে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে এফডিসিতে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা। এর পর চলচ্চিত্র অঙ্গনের সহকর্মীরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে সকালে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কিংবদন্তি সংগীত পরিচালকের বনশ্রীর বাসায়। সেখানে বিটিভির সহকর্মী ও এলাকাবাসীর জন্য তাকে রাখা হয় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর নেওয়া হয় খিলগাঁওয়ে আলাউদ্দিন আলীর আদি বাড়িতে।
বাদ জোহর খিলগাঁও তালতলা মোড়ে নূর-এ-বাগ জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে আলাউদ্দিন আলীকে শেষবারের মতো এফডিসিতে আনা হয়। সেখান থেকে মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেওয়া হয়।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ছিল সংস্কৃতিমনা। সেই আবহেই সংগীতের সঙ্গে বেড়ে উঠা। চলচ্চিত্র ছাড়াও দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গানে উপহার দিয়েছেন অনেক কালজয়ী সৃষ্টি।
আলাউদ্দিন আলী এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..