দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু, কেউ মানছে না নির্দেশনা

0
10
দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু, কেউ মানছে না নির্দেশনা

প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার,১৫ অক্টোবর ২০২০ইং ।। ৩০শে আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)।। ২৮শে সফর,১৪৪২ হিজরী

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। এর বেশি রাখা কোনোভাবেই যোৗক্তিক নয়’ জানিয়ে আলুর বাজার নজরদারি করার জন্য ৬৪ জেলার প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। চিঠি পাওয়ার পর বুধবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে বিভিন্ন সংস্থাকে। তবে এতে বাজারে কোনো প্রভাবই পড়েনি। পাইকারি বা খুচরা কোনো পর্যায়েই দাম কমেনি আলুর।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সরেজমিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়। অথচ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তা বিক্রি হওয়ার কথা ছিল সর্বোচ্চ ২৫ টাকায়।

বাজারের ‘সাথী বাণিজ্যালয়’-এর স্বত্বাধিকারী শাহ চান ব্যাপারী জানান, তারা কিনছেন বেশি দামে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। কোল্ডস্টোরেজ থেকে দাম কমাতে না পারলে তাদের কিছুই করার নেই।

অন্যদিকে ওই এলাকার খুচরা দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিন্তু সরকার-নির্ধারিত প্রতি কেজির সর্বোচ্চ দাম ৩০ টাকা।

কাঁচাবাজারের দোকানিরা জানান, বুধবার দুপুর ও বিকেলে র‌্যাব এবং পুলিশের একাধিক দল এসব মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বেশ কিছু পাইকারি বিক্রেতা দোকান বন্ধ করে চলে যান। অন্যরা সঠিক দামে বিক্রি করছেন বা করবেন বলে জানান। কিন্তু বাস্তবে কোনোই পরিবর্তন হয়নি।

এ বিষয়ে কথা বলতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় অধিদপ্তরের একাধিক টিম বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে সব জেলা প্রশাসককে জানানো হয়, আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে, তখন প্রতি কেজি আলুর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ ৩ টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ের সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, সংরক্ষিত আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রি করা যুক্তিযুক্ত। সে হিসাবে হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি মূল্য (আড়ত পর্যায়) ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা দাম ৩০ টাকা হওয়া উচিত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..                   

‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন