৮৭ বছরে পা রাখলেন আশা ভোঁসলে

0
23
৮৭ বছরে পা রাখলেন আশা ভোঁসলে

প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং ।। ২৪শে ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)।। ১৯ই মুহররম,১৪৪২ হিজরী

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : ভারতীয় সঙ্গীতের কালজয়ী শিল্পী আশা ভোঁসলে। আশা ভোঁসলে ভারতের জনপ্রিয়তম গায়িকাদের মধ্যে অন্যতম। মূলত, তিনি হিন্দি সিনেমার নেপথ্য সঙ্গীত গাওয়ার জন্য বিখ্যাত। চিরাচরিত হিন্দি গানের ছক ভেঙে এক নতুন ধারার গায়কী তৈরি করেছিলেন আশা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে মেলোডি, পপ বা লোকসঙ্গীত সব ধাঁচের সঙ্গীতেই হৃদয় ছুঁয়েছে আশাজির সুর-মূর্ছনা।

আজ ৮ সেপ্টেম্বর  ৮৭ বছরে পা রাখলেন আশা ভোঁসলে। ১৯৩৩ সালের এইদিনে জন্ম লাভ করেন জনপ্রিয় এই মেলোডি কুইন। ১৯৪৩ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে প্লে-ব্যাক সিংগিংয়ে আবির্ভাব। হিন্দি থেকে শুরু করে বাংলা, তেলেগু, তামিলসহ ভারতের প্রায় সব ধরনের আঞ্চলিক ভাষাতেই গান গেয়েছেন তিনি। 

ফিল্মি গান থেকে শুরু করে গজল, পপ একাধিক জ্যঁর-এ তার অবাধ বিচরণ। গত কয়েক বছর ধরে সেভাবে আর প্লেব্যাক সিঙ্গিংয়ে পাওয়া যায়নি আশাকে। তার মধ্যে মেয়ের মৃত্যু তাকে প্রবল মানসিক ধাক্কা দিয়েছে। তবু তিনি কুহকময়ী। এখনও একবার তার কণ্ঠ যেন কাঁসার থালার মত মসৃণ-টনটনে।

ষাটের দশকে যখন গীতা দত্ত, শামসাদ বেগম, লতা মঙ্গেশকরের রাজত্ব, ঠিক তখনই বলিউডে আসেন আশা ভোঁসলে। বলিউডে তার পদার্পণ খুব একটা সহজ নয়। কেননা প্রথম দিকে তাকে ভালো কোনো গানই দিতে চাননি প্রথিত‌যশা সঙ্গীত পরিচালকরা। দেওয়া হত অপেক্ষাকৃত কম বাজেটের সিনেমার গান।

তবে তিনি নিজের ‌যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়েই ধীরে ধীরে বলিউডে জায়গা করে নেন।  ১৯৫৩ সালে পরিচালক বিমল রায়তার ‘‍পরিণীতা’‍ সিনেমায় গান গাওয়ার সু‌যোগ করে দেন আশাকে। তারপর তাকে আর ফিরায় কে। সেই যে বীরদর্পের পথচলা, তা আজো সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে অনন্য হয়ে রয়েছে।

শোনা যায়, খোদ রাহুল দেব বর্মনও নিশ্চিত ছিলেন না কে সেরা? তিনি বলেছিলেন, ‘আশাকে দিয়ে যেকোনো গান গাওয়ানো যায়, তবে কিছু গান আবার লতা ছাড়া সম্ভব নয়।’ একই কথা প্রসঙ্গে গীতিকার, পরিচালক গুলজার বলেছিলেন, ‘চাঁদে দুটি লোক একই সঙ্গে নামল। তুমি যে প্রথম পা দিল, তাকে নিয়ে এমন নাচানাচি শুরু করলে যে অন্য লোকটার কথা ভুলেই গেলে। আরে, সে–ও তো ভাই চাঁদে একই সঙ্গে গিয়েছে।’ আশা ভোঁসলে তেমনি দ্বিতীয় জন।

কিংবদন্তি আশা ভোঁসলের কেরিয়ারের মাইল ফলক হিসাবে দেখা হয়- ১৯৫৭-র ‘নয়া দৌড়’, ১৯৬৬-র ‘তিসরি মঞ্জিল’ ১৯৮১-র ‘উমরাও জান’  ১৯৯৫-এর ‘রঙ্গিলা’ সিনেমাকে। সঙ্গীত জীবনে তিনি মোট ৯২৫টিরও বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন। ১৯৪৩ সাল থেকে আরম্ভ করে তিনি ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে গান গেয়ে চলেছেন। তবে শুধু বলিউড নয়, বিভিন্ন ভাষায় ১২০০-রও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে সর্বাধিক প্লেব্যাক গানের গায়িকার শিরোপা দেয়।  ২০০৮ সালে তাকে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে ভারত সরকার।

আশা ভোঁসলের গাওয়া ‘‍আইয়ে মেহেরবা’‍ ( হাওড়া ব্রিজ ১৯৫৮) ‘‍আভি না ‌যাও ছোড় কর’‍ (হাম দোনো ১৯৬১), ‘‍আও হুঁজুর তুমকো তুমকো সিতারো মে লে চলে’‍ (কিসমত ১৯৬৮), ‘‍দুনিয়া মে লোগ কো ধোকা হো জাতা হ্যায়’‍ (আপনা দেশ ১৯৭২), ‘‍চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে ‌যো দিলকো’‍ ( ইয়াদোঁ কি বারাত ১৯৭৩ ),’‍আও না, গলে লাগাও না’‍ (জীবন সাথী ১৯৭২) সহ অসংখ্য-অজস্র জনপ্রিয় গান রয়েছে।

পাশাপাীশ রয়েছে বাংলা ভাষাভাষীদের মুখে মুখে ভেসে বেড়ানো গান- ‘একটা দেশলাই কাঠি জ্বালা ‘, ‘তারে ভুলানো গেলো কিছু তে’, ‘খেলবো হোলি রঙ দেব না’, ‘দীপ জ্বেলে ওই তারা এ কি কথা বলে যায়’, ‘ছোট্ট একটা ভালোবাসা’, ‘আমার দিন কাটে না আমার রাত কাটে না’, ‘কেন সর্বনাশের নেশা ধরিয়ে তুমি এলে না যে’,

‘ঐ পথ দূরে দূরে স্বপ্ন মাঝারি নেশা’, ‘তুমি কোন কাননের ফুল’, ‘আকাশে সূর্য আছে যতদিন’, ‘যে গান তোমায় আমি শোনাতে চেয়েছি’, ‘খুব চেনা চেনা মুখখানি তোমার’, ‘কিনে দে রেশমী চুড়ী’, ‘লক্ষ্মীটি দোহাই তোমার’, ‘মহুয়ায় জমেছে আজ’, ‘নাচ ময়ূরী নাচ রে’, ‘সন্ধ্যা বেলায় তুমি আমি’, ‘যেতে দাও আমায় ডেকো না’, ‘আমি খাতার পাতায় চেয়েছিলাম’, ‘বাঁশী শুনে কি’। যে গানগুলি বারবার মনে করিয়ে দেয়, আশাই আশার আলো জ্বালায় শ্রোতাদের গানে গানে মাততে।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..         

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন

https://www.facebook.com/BikrampurKhobor/     

আপনার আশেপাশে সাম্প্রতিক খবর পাঠিয়ে দিন email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন