প্রকাশিত:শুক্রবার,০৯ আগস্ট ২০১৯ ইং ||২৫শে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক:হালাল উপায়ে কোরবানীর শর্তাবলী নিচে দেওয়া হলো:
- জবাই করা পশুটি মুসলিম নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদিত পশুগুলোর মধ্যে একটি হতে হবে। যেমন- গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি। শারিরিকভাবে অসুস্থ পশু কোরবানি করা যাবে না।
- জবাই করার সময় পশুটি অবশ্যই জীবিত থাকতে হবে।
- কোনো প্রকার অচেতন বা অজ্ঞান পশু জবাই দেয়া যাবে না।
- পশু জবাই অবশ্যই ধারালো ছুরি দিয়ে করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো ছুরির ভারে পশুর মৃত্যু না ঘটে, যা শরীয়াহ মোতাবেক অনুমোদিত নয়।
- গলার ছয়টি অংশ (জগুলার শিরা ২টি, ক্যারটিড ধমনী ২টি, শ্বাসনালী এবং অন্ননালী) খুব দ্রুত কাটতে হবে। ছুরির আগা দিয়ে রগে (স্পাইনাল কর্ড) এ খোঁচা দেয়া যাবে না।
- ছুরি না তুলেই, একবারে জবাই করতে হবে। ছুরি একবার বসিয়ে আবার উঠিয়ে জবাই করা যাবে না।
- মানসিকভাবে সুস্থ্য ও বালেগ একজন মুসলমান দ্বারা জবাই সম্পন্ন করতে হবে। অমুসলিম কারো দ্বারা জবাই করা হলে মাংস হালাল হিসেবে গণ্য হবে না।
- জবাইয়ের পূর্বে অবশ্যই আল্লাহর নাম নিতে হবে এবং বলতে হবে- বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবর। (আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান ও সর্বশ্রেষ্ঠ)।
- জবাই করার সময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নাম নিলে (যেমন পশু কোরবানি দেওয়া হচ্ছে অমুকের নামে) মাংস হারাম হয়ে যাবে।
- কোনো মুসলিম যদি ভুলবশত জবাই করার সময় আল্লাহর নাম নিতে ভুলে যায়, তবুও মাংস হালাল থাকবে। তবে সে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নাম না নেয়, তবে মাংস হালাল থাকবে না।
- পশু পুরোপুরি নিস্তেজ হবার পূর্বে (এমনকি জবাই করার সময়) পশুর মাথা কখনোই আলাদা করা যাবে না। জবাইয়ের ছুরি কোনোভাবেই মেরুদন্ড ও এর ভেতরের রজ্জু পর্যন্ত যাবে না।
- পশু পুরোপুরি নিস্তেজ হবার পূর্বে কোনো প্রকারের কাটাকাটি বা চামড়া ছাড়ানো যাবে না।
- অবশ্যই গলার সামনে (বুক) থেকে শুরু করে পিছন দিক পর্যন্ত জবাই করতে হবে।
- হারাম পশু জবাইতে ব্যবহৃত এমন প্রোডাকশন লাইন বা জবাইয়ের ছুরি কোনো কিছুই হালাল জবাইতে ব্যবহার করা যাবে না।
লক্ষণীয় বিষয়
• পশুকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে।
- ছুরি অবশ্যই পশুর অগোচরে রাখতে হবে। কোরবানির জন্য রাখা পশুদের সামনে কোনো পশু জবাই করা যাবে না।
- যতটা সম্ভব যত্ন সহকারে পশু জবাই করতে হবে। পশুকে অহেতুক কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
- জবাইয়ের পূর্বে ছুরি নতুন করে ধার দিয়ে নেওয়া উচিত।
- নিস্তেজ পশুকে পরিস্কার জায়গায় রেখে মাংস কাটাকাটি করতে হবে।
- ছুরি, দা, বটি, চাপাতি গরম পানি ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- নাড়ি-ভুঁড়ি খুব সতর্কভাবে পৃথক করে অন্য স্থানে পরিস্কার করতে হবে। মাংসে সবচেয়ে বেশি জীবণুর আক্রমন হয় এই নাড়ি-ভুঁড়ির সংস্পর্ষ থেকে।
- ভুঁড়ির গোবর পরিস্কার করার জন্য ড্রেন বা ডাস্টবিন এর কাছে নিয়ে যাওয়া থেকেও জীবণুর সংক্রমন হতে পারে। এগুলো লোকালয়ের বাইরে নিয়ে সতর্কভাবে পরিস্কার করা উচিত।
- মাংস যতো দ্রুত সম্ভব ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। মাংস বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে তাতে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। সূত্র : বেঙ্গল মিট