হজযাত্রীরা আজ মিনায় যাবেন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

0
7

প্রকাশিত: বৃস্পতিবার,০৮ আগস্ট ২০১৯ ইং ||২৪ই শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক:আজ বৃস্পতিবার শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মক্কার মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনায় যাবেন। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। হজের অংশ হিসেবে হাজিরা পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা,মক্কা ও মিনায় অবস্থান করবেন।

সারা পৃথিবীর প্রায় ২০ লাখ (১৮,৩৮,৩৩৯জন। গতকালের সৌদি আরবের পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী)মুসলমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নিজ নিজ আবাস এবং মসজিদুল হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এর মাধ্যমে সূচনা হবে মুসলমানদের অন্যতম ফরজ ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। ইহরামের কাপড় (আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ কাপড়) পরে জিকির-আসগারে মিনার পথে চলবেন হজযাত্রীরা।হজ পালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। অন্যান্য দেশের হাজিদের মতো বাংলাদেশের ১ লাখ ২৬ হাজার হাজিও রওয়ানা হবেন মিনার পথে।

কেউ যাবেন গাড়িতে,কেউবা হেঁটে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে,কখন মিনার উদ্দেশে রওনা দেয়া হবে। একই সঙ্গে দেয়া হয়েছে মিনার তাঁবু নম্বর সংবলিত কার্ড। ওই কার্ড সব সময় গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হয়।

মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সূচনা হয়ে;যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর মেরে।

আগামীকাল ৯ আগস্ট (শুক্রবার) সারাদিন মিনায় অবস্থান করে সেদিন রাতে ও প্রত্যুষে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাত্রা করবেন তারা।

১০ আগস্ট (শনিবার) আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুত্বা দেওয়া হবে। হজের খুত্বা শেষে জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন হাজিরা। সেদিন সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারারাত অবস্থানের পর শয়তানের স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নেবেন হাজিরা। ঐদিন ফজরের নামাজ শেষে বড়ো জামারায় (প্রতীকী বড়ো শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করতে মিনায় যাবেন তারা। পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি দেবেন তারা। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়।

মক্কার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হজের সময় মক্কার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আর্দ্রতা থাকবে ৮৫ শতাংশ। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

মোয়াল্লেম দফতর সূত্র জানায়,মিনায় জামারাতের কাছে মোয়াল্লেম নম্বর ৭ ও ৮-এর অধীনে থাকবেন বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আসা হাজীরা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে আসা হাজিরা থাকবেন ৩, ৪, ৬, ১১, ২০, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭৫-৭৭, ৯৯, ১০১, ১০৩ থেকে ১৩৭ মোয়াল্লেম নম্বরের অধীনে। মিনায় হাজীদের সহায়তার জন্য ২৪/৬২ নম্বর তাঁবুতে ৫ দিন বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হবে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন