সেন রাজবাড়ি (বল্লাল বাড়ি)তে পুরাতাত্ত্বিক আবিস্কার —ড.নূহ-উল-আলম লেনিন

0
118

প্রকাশিত:সোমবার,২১জানুয়ারি ২০১৯।বিক্রমপুর খবর:

আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরও একটি অধ্যায় যুক্ত হওয়ার শুভ সূচনা হলো। বাংলায় সেন রাজাদের রাজধানী হিসেবে বিক্রমপুর সর্বজন স্বীকৃত। সেন রাজবাড়ি হিসেবে কয়েকশত বছর ধরে রামপালের “ বল্লাল বাড়ি “ পরিচিত হলেও রাজবাড়ির কোনো চিহ্ন দৃশ্যমান ছিলনা। দখল ও ঘন বসতিপূর্ণ চারিদিকে পরিখা বেস্টিত বিশাল বাডিটিতে অতীতে কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক খনন হয়নি। অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে এখানে খননের চেষ্টা করছে। স্হানীয় বাসিন্দারা তাদের জায়গা দখল হওয়ার ভয়ে আমাদেরকে খননের অনুমতি দেয়নি।


বিপুল উৎসাহী দর্শকের ভীড়ে মুন্সিগন্জের জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা, ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

অবশেষে মুন্সিগন্জ সদর উপজেলার প্রশাসন, ভূমি রাজ্স্ব বিভাগের কর্মকর্তা এবং সর্বাপরি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ বিশিষ্ট প্রত্নতত্ববিদ অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এবং অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূহ-উল-আলম লেনিনের উদ্যোগে বল্লাল বাড়িতে পরীক্ষণমূলক খনন পরিচালিত হয়া। মাত্র ৯ বর্গ মিটার খননে বেরিয়ে আসে প্রাচীন বসতির গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য স্হাপত্যিক চিহ্নরেখা বা Indication! মাত্র একদিনের খননেই উন্মোচিত হয়েছে সেন রাজবাড়ির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রাপ্তির বিপুল সম্ভাবনা। এখানে পাওয়া গেছে প্রাচীন ইটের বিক্ষিপ্ত গাঁথুনি,মৃৎপাত্র এবং চারকল প্রভৃতি। চারকল কার্বন-১৪ পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রত্ননিদর্শনের বয়স বা নির্মাণকাল নির্ধারণ করা যায়।


সুফি মোস্তাফিজ জেলা প্রশাসককে আবিস্কার প্রসঙ্গে ব্রিফ করছেন।

আজ  প্রায় আট শতাধিক বছরের বাঙালির ইতিহাসের একটি চমকপ্রদ অধ্যায় আবিস্কারের সূচনা হলো।

আমি এই মহৎ কাজে অংশগ্রহণকারী প্রত্নতত্ত্বের শিক্ষক,গবেষক, ছাত্র- ছাত্রী,চীনের বন্ধুপ্রতিম প্রত্নতত্ববিদ,বাংলাদেশ ও ভারতের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ টিমের সদস্যবৃন্দ,জমির মালিক, শ্রমিকসহ সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে। আজ আমি ব্যক্তিগতভাবে সত্যিই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি এই মহৎ কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পেরে।


দর্শনরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা, চলচ্চিত্র নির্মাতা টুসি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
আজ  অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডশনের পক্ষ থেকে  ফাউন্ডেশনটির সভাপতি ড.নূহ-উল-আলম লেনিন (Nooh Ul Alam Lenin) তাঁহার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এই সু খবরটি জানান। আমরা তাঁহার লিখাটি হুবহুব প্রকাশ করলাম।

খননকৃত জমির মালিক ও স্হানীয় বাসিন্দাদের সাথে নূহ- উল- আলম লেনিন।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন