শুধু অর্থনৈতিক নয়,সাংস্কৃতিক অর্জনও থাকতে হবে:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
27
শুধু অর্থনৈতিক নয়,সাংস্কৃতিক অর্জনও থাকতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার,১২জানুয়ারি, ২০২০ ইং ।। ২৮ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর :অফিস ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন,‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চারিত্রিক  মহিমা,সংগ্রাম,মানুষের জন্য অবদান এবং বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য আমরা পৃথিবীর সব দেশকে জানাতে চাই। এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করবো। তাই এ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’

ড. মোমেন বলেন,‘‘বাংলাদেশের দারিদ্র্যসীমা গত দশ বছরে ৪২ থেকে ২০ শতাংশে নেমে গেছে। বাংলাদেশ এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ি’হিসেবে চিহ্নিত থাকলেও এখন পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। সম্প্রতি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী,এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ। উন্নতির সাথে সাথে এদেশের দারিদ্র অনেক নেমে এসেছে।  আগামী পাঁচ বছরে দারিদ্র আরো ৫ ভাগ কমাতে চাই।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন,‘আমাদের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান অনেক কম। এ খাতে অবদান বাড়ানোর জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় সাংস্কৃতিক অর্জনও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

ড. মোমেন বলেন,‘পৃথিবীতে সংঘাতের কারণ হিংসা,বিদ্বেষ ও অজ্ঞতা। হিংসা বিদ্বেষ কমাতে পারলে সংঘাত দূর হবে এবং পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করবে।’

তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে লৌহজং উপজেলার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের দ্বিতীয় সম্মেলন ও জ্ঞানালোক পুরষ্কার প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন,জ্ঞানচর্চাকারী ও আইন প্রতিষ্ঠাকারীরা চিরঞ্জীব। বিক্রমপুরে এমন ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর।

অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু,নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান। অনুষ্ঠানে প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন এটর্নি জেনারেল এডভোকেট মাহবুবে আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি বলেন,বিক্রমপুর আমাদের প্রেরণা। এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

কবি ঝর্ণা রহমানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের  লৌহজং কেন্দ্রের আহ্বায়ক কবির ভূঁইয়া। ফাউন্ডেশনের সম্মেলন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। তিনি বলেন,বিক্রমপুর এক সময় ছিল জ্ঞানচর্চার সূতিকাগার। প্রাচীনকালে বিক্রমপুরে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি  বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি চাই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম,পরিচয় ও অবদান এ প্রজন্মের কাছ তুলে ধরুন।

আলোচকদের মধ্যে বক্তৃতাদেন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা.রশিদ-ই-মাহবুব,বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও লায়লা হাসান, অধ্যাপক ডা.আব্দুল মালেক ভুইয়া । অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক  (রাজস্ব)সাইফুল ইসলাম,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবু ইউসুফ ফকির,ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,সরকারি লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো.মোজাম্মেল হক,বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর অধ্যাপক মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার ঢালী আব্দুল জলিল, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গনি তালুকদার, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ শিকদার, সম্মিলন অভ্যর্থনা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ কবির ভুইয়া কেনেডি প্রমুখ।

এ সময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ এবং ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনকে জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো এ সংঘের পুরস্কারের ক্রেস্ট ও ১ লক্ষ টাকার চেক গ্রহণ করেন। এবং তাসমিমা হোসেন বিদেশে অবস্থান করছেন বিধায় তাহার জ্ঞানালোক পুরস্কার ক্রেস্ট ও ১ লক্ষ টাকার চেক পরে তাহার উপস্থিতিতে প্রদান করা হবে বলে জানা যায়।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন