পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
গতকাল শনিবার রাত ৯টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান শাহ মোয়াজ্জেম।
এ সময় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শ্রীনগর ও সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তাঁর আসনে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় কোথাও কোনো জনসভা করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন সাজানো নাটকে, সাজানো মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিএনপির প্রার্থী আরো অভিযোগ করেন, ‘এটি কোনো নির্বাচন নয়, এটি চর দখল। দেশের মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই।’
পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ও নিজের নিরাপত্তা দাবি করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন বলে জানান ধানের শীষের এই প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ০৮ ডিসেম্বর,২০১৮ শনিবার মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে বিএনপির প্রার্থী মনোনীত করার প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল করেছে বিএনপির আরেক প্রার্থী শেখ আব্দুল্লাহর সমর্থকরা।
ঐদিন শনিবার বেলা ১টার দিকে নিমতলা এলাকায় মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেন আব্দুল্লাহর সমর্থকরা। তার আগে শেখেরনগর বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত শেখ মো. আব্দুল্লাহর নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক সভার আয়োজন করে। সেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থী বদল না করলে উপজেলা, ইউপি, ওয়ার্ড ভিত্তিক নেতাকর্মীদের গণহারে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেয়া হয়।
পরে নেতা কর্মিরা ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নিমতলা এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ এবং ঝাড়ু মিছিল করেন। এ সময় তারা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে সিরাজদিখানে বয়কট করার ঘোষণা দেয়া হয়।
সভায় শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির জন্য কাজ করে আসছি। পাশে থাকার জন্য চেষ্টা করেছি। দল যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সার্কুলার ছিলো তাতে তৃণমূলের মতামতকে প্রধান্য দেয়ার বিষয় ছিলো। আমি মনে করি, আমি সার্কুলারের সবগুলো বিষয়ে পাশ করেছিলাম। তারপরও কেন আমাকে দেয়া হলো না তা জানা নেই।
এ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন পরাজিত হোন। আজ আবার সেই ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হলো। সে অসুস্থ, ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না সেই ব্যাক্তিকে কিভাবে মনোনয়ন দেয়া হলো। তৃণমূলের মূল্যায়ন করতে গুলশান অফিসে বসে এসব বিষয় বিবেচনা করলে হবে না। তৃণমূলকে মূল্যায়ন না করলে ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেয়ার প্রয়োজন আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজদিখান থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক হায়দার আলী, সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, লতব্দী ইউপি সভাপতি নূর হোসেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মোল্লা, সিরাজদিখান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার, সিরাজদিখান ছাত্রদলের আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম, বীরতারা ইউপি সভাপতি সোহরাব হোসেন প্রমুখ।