প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০ ইং ।। ১৯ই জ্যৈস্ঠ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।।
বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক : লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফ্রন্টলাইনের কর্মী জনাব এসএম মিজানুর রহমান MT(EPI)০২/০৫/২০২০ তারিখে তার স্যাম্পল পাঠানো হয় আইইডিসিআর-এ,পরে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ ০৭/০৫/২০২০ সিট খালি হলে তিনি আইসোলেশনে যান।দীর্ঘ ১৬দিন আইসোলেশনে থাকার পর ২৩/০৫/২০২০ তার রিপোর্টে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসে। শারীরিক অসুস্থতার কারনে ও শরীর দূর্বল অনুভূতি হওয়ার কারনে আরও এক সপ্তাহ তিনি পূর্ণ বিশ্রামে থাকেন। এরপর তিনি রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথেই আবার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেন।বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ রুপ ধারন করেছে।করোনা কে কেউ প্রতিহত করতে পারছেনা। কেননা এইমহামারীভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নাই।বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ৷ কেননা বাংলাদেশে নভেল করোনা ভাইরাস ( কোভিড-১৯)মহামারী রুপ ধারন করেছে। হুহু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা।করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা সনাক্ত করার জন্য ফ্রন্টলাইনে কাজ করেন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মীরা।তারা নমুনা সংগ্রহ করেন এবং তার মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছে কিনা জানা যায়।তেমনি লৌহজং উপজেলার দুই ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা এসএম মিজানুর রহমান MT(EPI) ও অসীম কুমার দাস MT(LAB) তাঁরা তাঁদের জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে মানুষের সেবায় সর্বদা কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত ছিলেন।তারা অকুতোভয় সৈনিক৷ দীর্ঘ দিন স্যাম্পল কালেকশন করার পর অকুতোভয় সৈনিক জনাব এসএম মিজানুর রহমান করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে।দীর্ঘ ১৬দিন আইসোলেশনে থাকার পর মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানিতে তিনি সুস্থ হোন।তবে তার সাথে কথা বলে জানা যায় কিছু হৃদয় বিদারক কথা।করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সর্ব প্রথম হচ্ছে মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা।কিন্তু আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মী জনাব এসএম মিজানুর রহমান কে তার আসেপাশের লোকজন ও তার বাড়ির পাশে প্রতিবেশীরা বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখান৷ তাদের পাশে থেকে সহমর্মিতা না দেখিয়ে উল্টো তাকে হেয় প্রতিপন্ন করেন।তার দুটি সন্তান রয়েছে।তার পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত নন। তা স্বত্বেও তার সন্তানদেরকে বাড়ির বাহিরে যেতে দেননা ও পাশের ছেলে মেয়েদের সাথে মিশতে বাধা দেন তার বাড়ির পাশের লোকজন।আসলে এই ভাইরাসে কেউ ইচ্ছে করে আক্রান্ত হয়না।তার মধ্যে লৌহজং উপজেলায় মানুষের দ্বারেদ্বারে গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা চিহ্নিত করেছি। মানুষের মঙ্গলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।অথচ আমরা অবহেলার স্বীকার।আমাদের জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু কারও কাছ থেকে কোনে উৎসাহ উদ্দীপনা কোনো কিছুই পাচ্ছিনা৷ আমাদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না।তিনি আরও জানান আমাদের কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন আরও এক কর্মী তিনি হচ্ছেন গোপিনাথ দাস। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে তিনি আমাদের সাহায্য করছে। রোগীর সমস্ত বায়োডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু স্যাম্পল কালেকশনে সহায়তা৷তিনি আরও বলেন সকাল ১০টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে।ঠিক মত খাওয়া দাওয়া ও করতে পারেননা৷ আসলে তারা ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা তাদের নিয়ে কেউ চিন্তা করিনা। তারা যদি স্যাম্পল ঠিকঠাক ভাবে সংগ্রহ না করতো তবে সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব হতোনা। তাছাড়া দেশের মানুষের প্রতি ও কর্মের প্রতি কতোটা শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকলে সুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারে।সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তাদের দিকে একটু সু নজর দিন।এবং যার যার অবস্থান থেকে তাদের পাশে দাঁড়ান।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..