প্রকাশিত : বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০ইং ।। ৭ই শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : মিজানুর রহমান ঝিলু, লৌহজং থেকে : আজ সকালে লৌহজং উপজেলা বেজগাও ইউনিয়ন দক্ষিণ বেজগাও গাওদিয়া বেরী বাধটি বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম বাঁধের উপর দিয়ে পানি উপচে গিয়ে উওরের গ্রাম গুলি সব পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। লৌহজংয়ে বন্যার চরম অবনতি হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও উজানের অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সবকটি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের ৪৯টি গ্রামের ১৫ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। অনেক এলাকায় ঘরের মধ্যে কোথাও হাঁটু, কোথাও বুক সমান পানি।
বেজগাঁও ইউনিয়নের বড় বেজগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাটাতনের টিনের ঘরগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। অনেক ঘরে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থা। ঘরের দরজার সামনে বসে মাটির চুলায় রান্না করছিলেন শিউলি বেগম। শিউলি বলেন, চারশ’ হাত পাশেই পদ্মা নদী। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়া এক সপ্তাহ আগে তাদের বাড়ির উঠানে পানি ওঠে। তিনদিন আগে রান্না ঘর, টিউবঅয়েল পানিতে ডুবে গেছে।থাকার ঘরেই রান্নাবান্না, খাওয়াদাওয়া তাদের।
দুদিন ধরে পানি আরও বেড়েছে। এতে থাকার ঘরটিও প্লাবিত হতে পারে। ওই এলাকার মো. আল-আমিন জানান, বন্যায় পানিবন্ধী হয়ে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে আছেন তারা। একই অবস্থা হলদিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া এলাকায়। সেখানেও একসপ্তাহ ধরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। দিনদিন পানি বেড়ে ওই এলাকার প্রায় ৪শ’ পরিবার পানিবন্ধী আছে। সেখানকার শাহিন কাদের বলেন, তাদের এলাকার মানুষজন করোনা ও বন্যার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তবে সামান্য কিছু সরকারি সহযোগিতা তারা পেয়েছেন। তিনি বলেন, তার ঘরে প্রায় বছর বয়সী একটি সন্তান আছে। বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাপের ভয়, বন্যা, অভাব ও বাচ্চা পানিতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার ভয়ে দিন কাটছে তাদের।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..