প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ইং।। ১৩ই পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(শীতকাল)।। ১২ই জমাদিউল-আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : শেখ মো: সোহেল রানা : মুন্সিগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলার আলুর বীজ বপন প্রায় কিছু এলাকায় শেষ পর্যায়ে আছে। সিরাজদিখান উপজেলা আগাম আলু ঘরে তুলছে অনেক কৃষক ।কিন্তু পদ্মা নদী নিকটবর্তী লৌহজং কৃষক যানে না আলু বাজার ভবিষ্যতে কি? কিন্তু সে দিক থেকে পিছিয়ে আছে লৌহজংয়ের আলু চাষীরা বীজ বপন আরাম্ভ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৭ মেট্রিক টন আলু হয়েছিলো। এবার লক্ষ্য মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।লৌহজংয়ে কিছু সমস্যার কারনে আলুর বীজ বপন করতে অনেকটাই দেরি হয়েছে। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বিশেষ করে খিদিরপাড়া, বৌলতলী, গাঁওদিয়া ও কলমা ইউনিয়নের কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল এখনো বর্ষার পানিতে তলিয়ে আছে। উঁচু জমিগুলোতে আলুর বীজ বপন করা শুরু হয়ে গেছে। সরেজমিনে কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায় আলুর বীজ বপন করতে দেরি হওয়ার কারণ। বৌলতলী ইউনিয়নের আলু চাষী মোঃ মিজান কাজি বলেন, “গতবছর প্রায় ২০ কানি আলু চাষ করেছিলাম এবছর ২৫/৩০ কানি আলু চাষ করব তবে বর্ষার পানি সঠিক সময়ে জমি থেকে নামতে না পারায় কিছুটা বিচলিত।”
হাজী মোঃ মতিউর রহমান হাওলাদার বলেন, “সঠিক সময় আলু চাষ করতে পারলে আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমাদের এই এলাকায় বর্ষার পানি সঠিক সময় জমি থেকে নামতে না নামায় প্রায় একমাস আলুচাষ বপন করতে বিলম্বিত হচ্ছে এতে করে আমরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছি”। বেজগাঁও ইউনিয়ন আলু চাষী মো.ইব্রাহিম শেখ বলে,আলু চাষ করেছি বাজারের ভবিষ্যত কি? হবে এ নিয়ে দু’চিন্তায় দিন কাঁটছে। এছাড়া আরোও অসংখ্য কৃষক দিন কাটঁছে দুঃচিন্তায়।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’