লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

0
19
লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

প্রকাশিত:  শনিবার,১০ আগস্ট ২০১৯,২৬ শ্রাবণ  আষাঢ় ১৪২৬ ।

বিক্রমপুর খবর: অনলাইন ডেস্ক: আজ ইয়াওমুল আরাফা। আজ পবিত্র হজ।‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার) পবিত্র আরাফাতের পাহাড় ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত এখন। সু-উচ্চকণ্ঠ নিনাদের তালবিয়ায় মহান আল্লাহ তায়ালার একত্ব ও মহত্ত্বের কথা বিঘোষিত হচ্ছে প্রতি অনুক্ষণ।‘আমি হাজির। ও আল্লাহ! আমি হাজির। তোমার কোন শরিক নেই। সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধুই তোমার। সাম্রাজ্য তোমার। তোমার কোন শরিক নেই।’ শুরু হলো বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মিলন পবিত্র হজ।

আজ ভোর থেকেই আরাফাতের ময়দানে ঢল নেমেছে হজযাত্রীদের। সকালের আলো ফোটার আগেই সেখানে সমবেত হওয়া শুরু করেছেন তারা। এর আগে গতকাল তারা তাঁবুর শহর বলে পরিচিত ঐতিহাসিক মিনায় সমবেত হন। সেখানে ইবাদত বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করেন।

আরাফাতের ময়দানে হাজিরা। ছবি-সংগৃহীত

 

আর আজ আরাফাত দিবস। এদিন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এই ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এদিনটিকে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার দিন হিসেবে ধরা হয়। বলা হয়, এটাই হলো হজ।

সৌদি আরবের অনলাইন আরব নিউজ লিখেছে, পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে শুক্রবার। এদিন মিনায় উপস্থিত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ লাখ হজযাত্রী। এখন থেকে আজ তারা ছুটে যাবেন পবিত্র আরাফাতের ময়দানে, যা পবিত্র মক্কা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এখানে হজযাত্রীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, সকল ভেদাভেদ ভুলে আবেগঘন দিন অতিবাহিত করবেন। মহান আল্লাহর দরবারে নিজেকে সঁপে দিয়ে ইবাদত করবেন। এই আরাফাতের ময়দানে এ দিনে মহানবী (স.) তার বিদায় হজের ভাষণে সমতা ও সকল মুসলিমের ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

হজযাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আল্লাহর এসব মেহমানকে সেবা দিতে পেরে গর্ব প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র বাসাম আত্তিয়া। ওদিকে হজ করতে যেতে পেরে সন্তুষ্টি, শুকরিয়া প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাহারা জানান তাদের সবার জন্য দোয়া করছি। দোয়া করছি পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য। সৌদি আরবের নাগরিক রাহাফ নিয়াজি প্রথমবার হজ করছেন। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত সব কিছুই চমৎকার দেখছি। হজ করতে পেরে শুকরিয়া আদায় করছি।

জিলহজ্বের ১১ তারিখ মিনায় রাত যাপন করে দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হাজীরা বড়, মধ্যম ও ছোট শয়তানের উপর সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। আর এ কাজটি করার সুন্নত। পরদিন ১২ জিলহজ্ব মিনায় অবস্থান করে পুনরায় একইভাবে হাজীরা তিনটি শয়তানের উপর পাথর নিক্ষেপ করবেন। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা শেষ হলে অনেকে সূর্যাস্তের আগেই মিনা ছেড়ে মক্কায় চলে যান। আর মক্কায় পৌঁছার পর হাজীদের একটি কাজ অবশিষ্ট থাকে। সেটি হচ্ছে কাবা শরীফ তাওয়াফ করা। একে বলে বিদায়ী তাওয়াফ। স্থানীয়রা ছাড়া বিদায়ী তাওয়াফ অর্থাত্ কাবা শরীফে পুনরায় সাতবার চক্কর দেয়ার মাধ্যমে হাজীরা সম্পন্ন করবেন পবিত্র হজ্বব্রত পালন।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন