প্রকাশিত: বুধবার,২৯ ডিসেম্বর ২০২১ইং।। ১৪ই পৌষ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)।।২৪ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরী।।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : শীতলক্ষ্যায় গত ৪ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের কেওয়ার নুরাইতলি এলাকার মোখলেসুর রহমান শেখের কন্যা রুনা লায়লা। মৃত্যুর পরে ২০১৮ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় তার রেজাল্ট এলো ফাস্ট ক্লাস। সরকারী হরগঙ্গা কলেজের এই প্রয়াত শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.০৩। পরিবার প্রিয় মানুষকে হারিয়ে তার প্রথম বিভাগে পাসের খুশির খবর পেলেও তাকে ছাড়া যেন খুশি ছুঁতে পারছে না।
দুর্ঘটনায় অকালপ্রয়াত মেয়ের এমন অর্জন বাবা-মায়ের সুখ নয় বরং শোক বাড়িয়েছে বহুগুণে। তাদের চোখে অঝোরে ঝরছে পানি। সন্তান হারানো বাবা-মা আর স্বজন হারানো পরিবারটির দাবি লঞ্চ দুর্ঘটনায় দায়ীদের সর্বোচ্চ বিচারের।
রুনার বাবা মুখলেসুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মেয়ে রুনা। সবাই অপেক্ষায় ছিলাম কবে তার রেজাল্ট বের হবে। খুব কষ্ট করে আমার মেয়ে পড়াশোনা করেছে। ভালো একটা চাকরি করবে, এটাই আমাদের স্বপ্ন ছিল। পড়াশুনা তো শেষ, ভালো রেজাল্টও করলো, কিন্তু সব কিছুতো এখন শূন্য খাতায়। বাপ হিসাবে এ কষ্ট মানতে আর পারছি না।
অশ্রুসিক্ত চোখে রুনার মা কমলা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ক্লাস বাই ক্লাস আমার মেয়ে সব সময় পাস করছে। কত স্বপ্ন মেয়েরে নিয়া। যাওয়ার দিনও আমাদের বলে গেলো। মেয়ের বই-পড়ার টেবিল এখনো যত্নে গুছিয়ে রাখি। মেয়ে আমার আসে না। যদি লঞ্চটা বান-তুফানে ডুবতো তাইলেও মনরে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। আরেকটা জাহাজ ডুবাই দিছে। আমি এর বিচার চাই।
৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কয়লাখোলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজ এসকেএল-৩ এর ধাক্কায় ডুবে যায় মুন্সিগঞ্জগামী ছোট লঞ্চ সাবিত আল হাসান। এতে প্রাণ হারান ৩৫ যাত্রী। যাদের অধিকাংশেরই বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। লঞ্চডুবির চারদিন পর মুন্সিগঞ্জে গজারিয়া মেঘনা নদী থেকে ১৪ কর্মচারীসহ আটক করা হয়েছিলো ঘাতক জাহাজ এসকেএল-৩কে। পরবর্তীতে আদালতে জামিনে মুক্তি পান কর্মচারীরা আর ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বন্ডে মালিক পক্ষের জিম্মায় দেওয়া হয় জাহাজটি।
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’