রজব মাসের আইয়ামে বিজের রোজা; ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৬ ও ১৭

0
5
জুমার দিনের ফজিলত

প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং।। ২৮ মাঘ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)।। ৮ রজব,১৪৪৩ হিজরি।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ, শাশ্বত এবং বিজ্ঞানসম্মত জীবনব্যবস্থার নাম। এর প্রতিটি বিধানের রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। মানবতার সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সা: বৈজ্ঞানিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত রাসূল। তাঁর যুগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রসার লাভও করেনি। তবুও বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে তাঁর জীবনের প্রতিটি কর্ম ও নির্দেশনা রহস্যময় এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিভিন্ন যুগের বৈজ্ঞানিকরা অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে তাঁর নির্দেশিত প্রতিটি কাজ, চিন্তাভাবনা, নিয়মনীতি, আইনকানুনের প্রতি মনোনিবেশ করেছেন সেই মহারহস্য উদঘাটন প্রত্যাশায়। অতলান্ত মহাসাগর রোমান্থন দুঃসাধ্য হলেও ফলদায়ক। অতলান্ত মহাসাগরের মতো বিশাল বিস্তৃত মহানবী সা:-এর বর্ণাঢ্য জীবনের সব দিক ও বিভাগ নিয়ে গবেষণা কোনো একক ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্যই বৈজ্ঞানিকরা তাঁর বর্ণিল জীবনের এক একটি দিক নিয়ে গবেষণায় ব্রত হয়েছেন।

১৪৪৩ হিজরির চলতি রজব মাসের ১৩-১৫ তারিখ হলো- ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি মোতাবেক মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার। যারা আইয়ামে বিজের তিনদিন রোজা রাখবেন; তাদের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি (১২ রজব) সোমবার দিবাগত রাতেই সাহরি খেতে হবে।

প্রিয় উম্মতের জন্য মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যভাগে তিনদিন রোজা রাখার তাগিদ দিয়েছেন। আর তা হলো প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। এ রোজাকে বলা হয় আইয়ামে বিজের রোজা।

যারা আইয়ামে বিজের রোজা রাখবে তাদেরকে প্রত্যেক আরবি মাসের ১২ তারিখ দিবাগত রাতে সেহরি খেতে হয়।

আইয়ামে বিজের পরিচিতি :

আইয়ামে বিজ আরবি দু’টি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন-

(১) ‘আইয়াম’ আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো-দিবসসমূহ, কাল, সময় ইত্যাদি। এটি বহুবচন, এর একবচন হলো ‘ইয়াওম’, অর্থ হলো দিন বা দিবস।

(২) ‘বিজ’ বা ‘বিদ’ অর্থ শ্বেতবরণ, শুভ্রবর্ণ, ঔজ্জ্বল্য, সফেদ, সাদা রং ইত্যাদি।

আইয়ামে বিজের রোজার ফজিলত
আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত ও গুরুত্বারোপ করে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে ঘোষণা করেছেন-
> হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখল; সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ অতঃপর এর সমর্থনে আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে নাজিল করেন-
‘যে একটি নেকি নিয়ে আসে তার জন্য রয়েছে তার ১০গুণ।’ অতএব একদিন ১০ দিনের সমান।’ (তিরমিজি)

> হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা রাখতেন।’ (আবু দাউদ)

> হজরত ইবনু মিলহান আল-ক্বাইসি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আইয়ামে বিজের রোজার ব্যাপারে নসিহত করেছেন; আমরা যেন তা (মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ পালন করি। তিনি আরও বলেছেন, এটা সারা বছর রোজা রাখার মতোই।’ (আবু দাউদ)

হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতের নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। আর তাদের শরীরের রংও কুৎসিত হয়ে যায়। অতঃপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চন্দ্র মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই তিন দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়।

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত বর্ণনায় হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা পালন, সারা বছর রোজা পালনের সমান।’

উল্লেখ্য এ মাসটি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র শবে মেরাজের মাস হিসেবে পরিচিত। এ মাসের ২৮ তারিখ সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে পবিত্র শবে মেরাজ।

 (বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..              

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন