মুন্সীগঞ্জে সমাপ্ত,আজ থেকে চাঁদপুরে অভিযান

0
73

প্রকাশিত:রবিবার,২০জানুয়ারি ২০১৯।

বিক্রমপুর খবর::অনলাইন ডেস্ক:গতকাল শনিবার সকাল থেকে এই উদ্ধার অভিযান চলে বিকেল ৫টা পযর্ন্ত।পরে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া নৌ-পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস,কোষ্টগার্ড,নৌ-বাহিনীর ডুবুরীদল,বিআইডাব্লিউটিএ’র সদস্যদের সাথে এক সমন্নয় করে মুন্সীগঞ্জের অংশে উদ্ধার কাজের সমাপ্তি তিনি বলেন,সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চলবে,যদি ট্রলার শনাক্ত না হয় তবে রোববার (আজ) থেকে নদীর গজারিয়া থেকে দক্ষিণে অর্থাৎ চাঁদপুর অংশে অভিযান চালানো হবে।

গতকাল ঘটনাস্থলে এসে জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান,৭ দিন সময় বেধে দেওয়া হয়েছেন তদন্ত কমিটিকে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে। নিখোঁজ ট্রলারের সারেং এর গ্রামের বাড়ী ঠিকানা পাওয়া গেছে।পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শুনেছি তিনি পরিবারসহ পলাতক আছেন। চারদিন যেই পয়েন্টে খোঁজাখুঁজি চলছিল,আজ একটু আলাদা স্থানে উদ্ধার কাজ চলছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালানো হয়।তবে নিখোঁজ ট্রলার ও শ্রমিকদের সন্ধান না পাওয়ায় মুন্সীগঞ্জের অংশে উদ্ধার কাজের সমাপ্তি ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক। তবে আজ থেকে থেকে চাঁদপুরের অংশে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে অভিযান পরিচালনা করবে নৌ-পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস,কোষ্টগার্ড,নৌ-বাহিনীর ডুবুরীদল,বিআইডাব্লিউটিএ’র সদস্যরা।

উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ জানায়,সাইড স্ক্যানার সোনার ও গেরাপির মাধ্যমে মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জ সীমানায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে। কোথাও ট্রলারটির অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায়নি।তাই ধারণা করা হচ্ছে,ট্রলারটি চাঁদপুর সীমানায় ডুবেছে।আজ থেকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে অভিযান পরিচালিত হবে।

শনিবার সরেজমিন দেখা যায়,সকাল হতেই মেঘনা নদীসংলগ্ন গজারিয়া উপজেলার কালিয়াপুর এলাকায় নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের স্বজনের ভিড়।তারা যেকোনো মূল্যে তাদের প্রিয়জনের লাশ হলেও ফিরে পেতে চান।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক জানান,ডুবে যাওয়া ট্রলারটি যদি নদীর তলদেশের কোনো গর্তে পড়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ট্রলারের উপর বালির গভীর আস্তর পড়ে যেতে পারে।তাহলে ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া দুষ্কর হবে।না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

উদ্ধার হওয়া শ্রমিক ও নিখোঁজদের স্বজনরা আভিযানের সময় আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকরা সবাই ঘুমে ছিল।একমাত্র ট্রলার চালকই জেগে ছিল। দুর্ঘটনার সঠিক স্থান একমাত্র তিনিই চিহ্নিত করতে পারবেন। তাকে ধরতে পারলে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন