মুন্সীগঞ্জে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

0
19
মুন্সীগঞ্জে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০ইং ।। ৬ই শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : পদ্মার পানি বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের ৪টি উপজেলার নদী তীরবর্তী শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগরের ভাগ্যকুল পয়েন্টে বর্তমানে বিপদসীমার  ৬৭ সেন্টিমিটার এবং মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পদ্মায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে । পদ্মার পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে বন্যা কবলিত পরিবারের জন্য ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বানভাসি পরিবারদের সহায়তায় চাল, ৭শ’জনের শুকনো খাবার, শিশু এবং গো-খাদ্যের জন্য নগদ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লৌহজং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪৬টি গ্রাম, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রাম, শ্রীনগর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ২২টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবিরুল ইসলাম খাঁনসহ প্রশাসনের অনান্য কর্মকর্তারা বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রাম সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্লাবিত হওয়া পদ্মার চরের গ্রামগুলোর বসতবাড়িতে কোথাও হাটু পানি, কোথাও বুক সমান পানি। এসব বসতবাড়িতে থাকা মানুষজনের সঙ্গে বিপদে পড়েছে তাদের গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগিও। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘরের মাচা উচুঁ করলেও পানিবন্দি হয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাতে হচ্ছে বানভাসী পরিবারগুলোর। বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে বর্তমানে বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

লৌহজংয়ের যশলদিয়া গ্রামের মো. হুমায়ুন জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে যশলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এখন কোমর সমান পানি। গ্রামের প্রতিটি পরিবারের বসতবাড়ি বন্যার পানিতে ভাসছে। এই অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে বানভাসী পরিবারগুলো।

লৌহজংয়ের সিংহেরহাটি ও নাগেরহাট এলাকায় শুকনো জায়গা বাৎসরিক হিসেবে ভাড়া নিয়ে ১৯টি পরিবার পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, পদ্মার পানি ভাগ্যকুল ও মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এবং পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। ।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..      

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন