প্রকাশিত : বুধবার, ০৭ অক্টোবর ২০২০ইং ।। ২২শে আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)।। ২০শে সফর,১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সারাদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরকার পর্যন্ত বিব্রত। সরকারের মন্ত্রী বলেছেন- তারা ক্ষমতায়, তাই এটার দায় এড়াতে পারেন না। আমরা জুডিশিয়ারিতে আছি আমরাও চাই দোষীদের উপযুক্ত বিচার হোক।
বুধবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) এ শোকসভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি মাশহুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, এলআরএফ’র সাবেক সভাপতি আশুতোষ, মরহুমের ছেলে সুমন মাহবুব প্রমুখ মাহবুবে আলমের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রয়াত মাহবুবে আলমের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তার একটা সবচেয়ে বড় কথা ছিলো বিচার অঙ্গনে যত অনিয়ম আছে এগুলো দূর করতে হবে। তিনি আমাকে বলেছেন সেন্ট্রাল ফাইলিংয়ের ব্যবস্থা করেন। আমি আশা করবো বার (সুপ্রিমকোর্ট বার) মাহবুবে আলমের ইচ্ছাটা অচিরেই বাস্তবায়ন করবেন। আমিও চাই, সেন্ট্রাল ফাইলিং যদি হয় তাহলে সুপ্রিমকোর্টের অনিয়ম ৫০ শতাংশ থাকবে না।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমরা সমস্যার মূলে যদি হাত না দেই যত অনিয়মের কথা বলি কোন অনিয়ম কোর্ট থেকে দূর হবে না। আগে মূলে আঘাত করতে হবে। মূলে আঘাত করলে অনিয়ম দূর হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু দিন আগে আপিল বিভাগে জেল আপিলের রায় হয়েছে। জেল আপিল করতে গিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অনেক আসামিকে আমরা ছেড়েছি। কারণ আমরা সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছি যে আমরা সততার সঙ্গে ন্যায় বিচার করবো। সেটা শপথের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিচার করেছি।
শোক সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ছিলেন অনেক বিরল গুণের অধিকারী। কেউ তার সঙ্গে রাগ করলেও তিনি রাগ করতেন না। তিনি ছিলেন সৎ ও অধ্যবসায়ী। কাজের প্রতি ছিল তার শতভাগ কমিটমেন্ট। তার এই আদর্শগুলো অনুসরণ করতে পারলে আইনজীবীদের অনেক লাভ হবে।
তিনি বলেন, মাহবুবে আলমের প্রতি আইন অঙ্গনের কিছু বিশেষ ঋণ আছে। বিচার বিভাগের বিশেষ করে সুপ্রিমকোর্টের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার ব্যাপারে তিনি কখনো আপোষ করেননি। সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। তার আদর্শগুলো অনুসরণ করা গেলে এই ঋণ কিছুটা হলেও পরিশোধ হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
আপনার আশেপাশে সাম্প্রতিক খবর পাঠিয়ে দিন email bikrampurkhobor@gmail.com