প্রকাশিত:শুক্রবার, ০৯ এপ্রিল ২০২১ইং।। ২৬শে চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(বসন্তকাল।। ২৬শাবান ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : হোসাইন সোহেল:
ব্রাইডস হোয়েলBryde’s whale
এই প্রজাতির তিমি বিশ্বের নানান সাগরসহ বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে’ দেখা যায়।
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হচ্ছে একটি ১৪ কিলোমিটার ব্যাপী বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রের গীরিখাত। প্রাণ সম্পদের গুরুত্ব বুঝে ২০১৪ সালে ২৭ অক্টোবর এই এলাকাকে মেরিন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে গেজেট করা হয় এবং বনবিভাগের অধীন। অন্যতম কারণ সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে বাস করে তিমি, ডলফিনসহ নানান জলজ প্রাণ।
এদিকে হিসেব বলছে ২০১৮ সালে মে মাসে কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসে মৃত বড় আকারের একটি ব্রাইডস হোয়েল। এরপর গতবছর ২০২০ জানুয়ারীতে সেন্টমার্টিন উপকূল ঘেঁষে সাগরে ভাসতে দেখা যায় আরও একটি মৃত ব্রাইডস হোয়েল। তারপর ৬ মাস না পেরুতে জুন মাসের মাঝামাঝিতে টেকনাফে আরও একটি ব্রাইডস হোয়েল ভেসে আসে। এই বছর আজ ৯ এপ্র্রিল ২০২১ দরিয়ানগর কক্সবাজারে ভেসে এলো মৃত অরেকটি ব্রাইডস।
এইসব মৃত তিমি কোথায় থেকে আসছে নাকি সোয়াচ থেকে মরে ভেসে আসছে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। তথাকথিত মনগড়া কোন পোস্টমর্টেম ও তদন্ত প্রতিবেদন দিলে হবেনা। এইসব প্রাণী হত্যার ক্ষেত্রে প্রায় দেখা যায় বা তদন্তে লেখা থাকে হার্ট এ্যাটাক, হিট ষ্ট্রোক, বয়স্ক, বার্ধক্য জনিত রোগসহ আরও কিছু। এতো তালবাহানা না করে জেলেদের জালে অথবা কিভাবে একের পর এক প্রাণীগুলো মারা যায় তা খুঁজে বের করতে হবে।
বছর তিনেক আগে গবেষণার কাজের সঙ্গী হয়ে সোয়াচে যেতে হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে গুলিস্থানের হকাররা যেভাবে যত্রতত্র দোকান নিয়ে বসেন তুলনা করলে সোয়াচে মাছ ধরতে তেমনি দোকান বসে। ছোট একটি জায়গা যার পরিধি ১৪ কিমি অথচ সেখানে ভীড় করছে শতশত কর্মাশিয়াল ও উডেন বোট। দিনরাত চলে ফিশিং।
এদিকে সেই সোয়াচে জায়গা জুড়ে রয়েছে ব্রাইডস হোয়েল বা তিমি ও বড় বড় ডলফিনে ঝাঁক। আমি নিজের চোখে সোয়াচে দেখেছি বাচ্চাসহ একটি বড় তিমি। দিনরাত যদি ফিশিং হয় তাহলে সেখানে বাস করা তিমি, ডলফিন, কাছিমসহ নানান জলজ প্রাণ কিভাবে থাকবে? অথচ সংরক্ষিত এলাকা বলতে আমরা যা বুঝি তার ০.১ পারসেন্ট কোন নজরদারি রয়েছে কি ? সংরক্ষিত এলাকাতে তো মাছ শিকারে প্রবেশ করার তো সুযোগ নেই। তাহলে ব্ল ইকনোমি ও এসডিজি গোল-১৪ কিভাবে হয়।
শুধু তাই নয় কাঠের বোটের ৬০ ফুট লম্বা আর কর্মাশিয়াল ফিশিং বোটে
প্রায় ২০০ ফুট লম্বা নানান আকৃতির জাল ফেলা হয় সাগরগর্ভে। সেই জাল যে শুধু এদেশের তা নয় বরং সুযোগে যুগ যুগ ধরে অন্যদেশের জেলেরা জাল নিয়ে সোয়াচে মাছ ধরে চলেছে দিনের পর দিন। যদিও নৌবাহিনী কোস্টগার্ড নজরদারী করে কিন্তু কতটুকু করা সম্ভব!
(Hossain Sohel এর ফেইজবুক থেকে)
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।