তিন বিপ্লবী- বিনয়, বাদল, দীনেশ
প্রকাশিত : সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং ।। ৬ই আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)।। ৩রা সফর, ১৪৪২ হিজরী বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক :
১। শহীদ বিনয় কৃষ্ণ বসু (জন্মঃ- ১১ সেপ্টেম্বর ১৯০৮ – মৃত্যুঃ- ১৩ ডিসেম্বর ১৯৩০)
বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার রোহিতভোগ গ্রামে (রূপান্ত হয়ে রৌতভোগ বা রাইতভোগ) এক মধ্যবিত্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ বিনয় কৃষ্ণ বসু। বাবা প্রকৌশলী রেবতীমোহন বসু এবং মা ক্ষীরদাবাসিনী দেবী। শহীদ বিনয় কৃষ্ণ বসু মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুল (বর্তমানের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) এ ভর্তি হন। এই সময় বিনয় বসু বিপ্লবী রাজনীতিতে যুক্ত হন। ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষের সংস্পর্শে এসে বিপ্লববাদী যুগান্তর দলে যুক্ত হন তিনি। বিনয় ও তাঁর সহযোদ্ধারা ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ দলে যোগ দেন ১৯২৮ সালে৷
২। শহীদ বাদল গুপ্ত ( জন্মঃ-১৯১২ – মৃত্যুঃ-৮ ডিসেম্বর ১৯৩০ )
বিক্রমপুরের লৌহজং এর পূর্ব শিমুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাদল গুপ্ত। বানারিপাড়া স্কুলে পড়ার সময় বাদল বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিকুঞ্জ সেনের সংস্পর্শে আসে। তাঁর সান্নিধ্য থেকেই বাদল গুপ্ত স্বদেশি রাজনীতি সঙ্গে জড়িয়ে পরে। নিকুঞ্জ সেন ছিলেন বিপ্লবী দলের সদস্য। এই শিক্ষকের হাত ধরেই খুব সম্ভবত নবম বা দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাদল গুপ্ত ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ (বি.ভি) নামে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
৩। শহীদ দীনেশ চন্দ্র গুপ্ত (জন্মঃ-৬ ডিসেম্বর ১৯১১ – মৃত্যুঃ-৭ জুলাই ১৯৩১)
বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার যশোলঙে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ দীনেশচন্দ্র গুপ্ত । তার পিতার নাম সতীশচন্দ্র গুপ্ত ও মায়ের নাম বিনোদিনী দেবী। দীনেশ গুপ্তের ডাকনাম ছিল নসু। ৪ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে দীনেশ ছিলেন পিতামাতার তৃতীয় সন্তান। সতীশচন্দ্র ছিলেন ডাক বিভাগের কর্মচারী। চাকরির সূত্রে তিনি কিছুকাল গৌরীপুরে অবস্থান করেন। গৌরীপুরের পাঠশালাতেই দীনেশের শিক্ষারম্ভ। পরে ৯ বছর বয়সে ভর্তি হন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে। প্রথম দিকে দীনেশ ঢাকার গ্যান্ডারিয়া অঞ্চলে দাদার বাড়িতে বাস করতেন,পরে উয়াড়ীতে পৈত্রিক বাসভবনে চলে আসেন। গৌরীপুরের পাঠশালাতেই দীনেশের শিক্ষারম্ভ। বাল্যকাল থেকেই দীনেশ ছিলেন নির্ভীক,বেপরোয়া ও সুবক্তা। এই সময় থেকেই তাঁর মনে স্বদেশ চেতনা ও ব্রিটিশ বিরোধিতার আদর্শ সঞ্চারিত হয়েছিল।
বিঃ দ্রঃ (অলিন্দ যুদ্ধ -রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ (৮ ডিসেম্বর,১৯৩০) নিয়ে অন্য সময়ে লিখবো )
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদেরবিক্রমপুর–আমাদেরখবর।
আমাদেরসাথেইথাকুন–বিক্রমপুরআপনারসাথেইথাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদেরপেইজএলাইকদিনশেয়ারকরুন।
জাস্টএখানেক্লিককরুন।https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
আপনার আশেপাশে সাম্প্রতিক খবর পাঠিয়ে দিন email – bikrampurkhobor@gmail.com