বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক, কবি,লেখক-প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুর স্মরণসভা ও মুক্তচিন্তা পরিষদ গঠন

0
39
বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক,লেখক-প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুর স্মরণসভা ও শাহজাহান বাচ্চু মুক্তচিন্তা পরিষদ গঠন করা হয়

প্রকাশিত :মঙ্গলবার ১১ জুন ২০১৯।২৮জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।৭ সাওয়াল ১৪৪০ হিজরি।

বিক্রমপুর খবরডেস্ক:বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক, কবি,লেখক-প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুর স্মরণসভা ও শাহজাহান বাচ্চু মুক্তচিন্তা পরিষদ গঠন করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১১জুন) বেলা ১১টার দিকে বিশিষ্ট মুক্তমনা লেখক,প্রকাশক সাংবাদিক শাহজাহান বাচ্চুর স্মরণসভা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদি চৌরাস্তায় অনুষ্ঠিত হয়।  স্মরণসভায় শাহজাহান বাচ্চুর স্ত্রী লুৎফা আক্তার কাননের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউিনিস্ট পার্টির সভাপতি শ.ম.কামাল, লেখক মুজিব রহমান, সাংবাদিক সুব্রত দাস রণক,প্রভাষক মো.জুনায়েদ,ইসলাম শেখ,কবি সান্দ্র মোহন্ত,ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল হুসাইন বাবুল,নূরে আলম  বিপ্লব,সুদীপ্ত সাহা,নাসির উদ্দিন নাসু,শেফালি বেগম, সমর দত্ত,শেখ মিলন,এসএম আনোয়ার হোসেন,মিরাজ শেখ, ইরান মিয়া,আনিসুর রহমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত,গতবছর ২০১৮ সালের এ দিন (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় তার নিজ বাড়ি কাকালদির অদুরে মোটরসাইকেলে করে একদল আগ্নেআস্ত্রধারী জঙ্গী লেখক ও বিশাখা প্রকাশনীর মালিক শাহজাহান বাচ্চুকে এলোপাথারী গুলি করে হত্যা করে। শাহজাহান বাচ্চু বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মুন্সিগঞ্জ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।প্রকাশ থাকে যে ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শাহজাহান বাচ্চু গ্রামের বাড়ি কাকালদী থেকে পূর্ব কাকালদীর এলাকার এসএম আনোয়ার হোসেনের ওষুধের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন।এসময় দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচজন দুর্বৃত্ত এসে প্রথমে বোমা ফাটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।পরে বাচ্চুকে দোকান থেকে বের করে গুলি করলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

স্মরণসভা শেষে আজ (১১জুন) দুপুরে পাশেই কাকালদিতে অপূর্ব রেস্টুরেন্ট এ প্রকাশক ও লেখক শাহজাহান বাচ্চুকে নিয়ে একটি সংগঠন করার জন্য লুৎফা আক্তার কাননের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের নামকরণ করা হয় ‘শাহজাহান বাচ্চু মুক্তচিন্তা পরিষদ’এবং ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট নিম্নলিখিত কমিটি গঠিত হয়।সভায় শাহজাহান বাচ্চুর স্ত্রী লুৎফা আক্তার কাননকে আহবায়ক করে, মুজিব রহমান কে সদস্য সচিব করে এবং বাকিদের সদস্য করা হয়। সদস্যরা হলেন- অধ্যক্ষ শামসুল হক, শ.ম.কামাল হোসেন, অলক মিত্র, শহীদ-ই হাসান তুহীন, বিমল পাল, সুমন্ত রায়, ইসলাম শেখ, নির্তেশ সি দত্ত, বিপাশা জাহান, রুপন্ত ইসলাম, শেখ মিলন, মোঃ জুনায়েদ, নূর এ আলম সিদ্দকী বিপ্লব, সমর দত্ত, সান্দ্র মোহন্ত, ইকবাল হুসাইন বাবুল, সুদীপ্ত সাহা,জন মোহাম্মদ, মাসুদ অর্ণব, হিরা সাহা, জামাল উদ্দিন খান,আব্দুর র্‌উফ , উজ্জ্বল দত্ত, নাসির খান, ইরান মিয়া,আনিসুর রহমান, শেফালী বেগম, ফারুক মিয়া, মোঃ সিপন, নাসির উদ্দিন নাসু, সফিকুল ইসলাম আকন্দ এবং শহিদুল ইসলাম।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন