বিক্রমপুর খবর ডেস্ক ::
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮ |
লৌহজংয় উপজেলার লৌহজংয়ের পয়সা গ্রামে যৌতুক দিতে ব্যার্থ হওয়ায় নির্যাতন করে গৃহবধূ মিনারা আক্তার রুমা (২৬) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে, মৃতের স্বামী ইলিয়াস খাঁন সহ শশুর বাড়ির স্বজনদের বিরুদ্ধে।বলা হচ্ছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘাতক স্বামী ইলিয়াছ খান তার বসতঘরে রুমাকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে অভিযোগ গৃহবধূর পরিবারের।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন স্বামী ইলিয়াস খাঁন সহ মৃত রুমার শশুর বাড়ির লোকজন। যৌতুকের দাবীতে পরিকল্পিত ভাবে এমন হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মৃতের স্বজনেরা। এ ঘটনায় গৃহবধূ রুমার বড় ভাই মিজানুর তালুকদার বাদি হয়ে গতকাল সোমবার রাতে লৌহজং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ইলিয়াস খাঁন সহ কাউকেই এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে, পুলিশ। রুমার পরিবারের অভিযোগ, গত এক বছরে রুমাকে তার স্বামী ইলিয়াছসহ সবাই মিলে একাধিকবার নির্যাতন করেছে। এ নিয়ে সর্বশেষ পারিবারিক সালিশ বৈঠকে রুমার ছোট ভাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পর দাবি করা টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও যৌতুকলোভী ইলিয়াছ রুমাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
রুমার বড় ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী মিজান তালুকদার সহ মৃত রুমার চাচা,মামুন তালুকদার ও ফুপা,আক্তার মাদবর জানান,এক বছর আগে পঁয়সা গ্রামের আলাউদ্দীন খাঁনের ছেলে ইলিয়াস খাঁনের (৩২) সাথে রুমার বিয়ে হয়। সে সময় নগদ এক লাখ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার ও আসবাবপত্র দিতে হয় ।এর পর থেকে আরো এক লাখ টাকা দাবি করে এসেছেন রুমার শ্বশুড় বাড়ির লোকেরা । কিন্তু টাকা দিতে না পারায় প্রায় সময়ই মারধর করা সহ অমানুষিক নির্যাতন করা হতো গৃহবধূ রুমা আক্তারকে।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে রুমার স্বামী ইলিয়াছ, মোবাইল ফোনে জানান, মৃত রুমাকে অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যায় ভাই মিজান ও তাঁর স্বজনেরা, এ সময় কর্তবরত চিকিৎসক জানান,হাসপাতালে নিয়ে আসার আনুমানিক আরো ২ ঘন্টা আগেই রুমার মৃত্যুহয়েছে ,মৃত রুমার ভাই মিজানুর রহমান তালুকদার জানান, রুমাকে মেরে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় শ্বশুড় বাড়ির লোকেরা।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনির হোসেন ও তদন্ত অফিসার, মোঃ রাজিব খান জানান, রুমার মরদেহ ফেলে ঘর বাড়ি তালা মেরে চলে যাবার পিছনে রহস্য রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে । এই ঘটনায় রুমার বড় ভাই মিজানুর রহমান তালুকদার বাদি হয়ে একটা মামলা দায়ের করেছেন। ময়না তদন্তের পর মূল ঘটনা জানা যাবে,তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।