প্রকাশিত: বুধবার,২ ডিসেম্বর ২০২০ইং ।। ১৭ই অগ্রাহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।। ১৬ই রবিউস-সানি,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়াও প্যানেল থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাঠ পর্যায়ে তথাকথিত প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে নিরীহ প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গোচরীভূত হয়েছে।
‘এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সকল শূন্য পদ তথা ১৮ হাজার ১৪৭টি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো প্যানেল করার বিষয় উল্লেখ ছিল না। ফলে এ নিয়োগে কোনো প্যানেল বা অপেক্ষমাণ তালিকা করা হয়নি।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত ১৯ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগকে রুটিন প্রক্রিয়া উল্লেখ করে অধিদপ্তর বলছে, ভবিষ্যতে শূন্য পদ হবে বিবেচনা করে প্যানেল করার কোনো সুযোগ নেই।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৩০ জুনের পর রাজস্বখাতে বিভিন্নখাতে পদ শূন্য হয়েছে এবং গত ২ জানুয়ারি নবজাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষকের পদ সৃজিত হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এসব পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া আইনানুগভাবে সম্ভব না হওয়ায় গত ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ লাখ প্রার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে মর্মে বিভ্রান্ত হয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সরকারি বিধি-বিধান অনুসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’