প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০১৯।২৯জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।৮ সাওয়াল ১৪৪০ হিজরি।
বিক্রমপুর খবর ডেস্ক:সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কুরআন মানুষের কল্যাণ ও অকল্যাণ নিয়ে আলোচনা করেছে। কোন কাজ করলে, কোন পথে অগ্রসর হলে, কিভাবে জীবন পরিচালিত করলে মানুষ একটি সুখী সমৃদ্ধশালী শান্তিপূর্ণ, ভীতিহীন, বৈষম্যহীন, শোষণ মুক্ত, নিরাপত্তাপূর্ণ পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতি গঠন করতে সক্ষম হবে এবং পরকালীন জীবনে কিভাবে কল্যাণ লাভ করতে পারবে, সে বিষয়ে এ কুরআনে আলোচনা করা হয়েছে।
বিশ্বনবী মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কুরআনে কারীমের মাধ্যমে একটি জাতির পরিবর্তন সাধিত করেছেন। গোটা বিশ্বে রেডিক্যাল চেঞ্জ এনে ছিলেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ “এটা একটি কিতাব (গ্রন্থ), যা আমি অবতীর্ণ করেছি, বড়ই কল্যাণ ও বরকতপূর্ণ”।-(সূরা আনআম-৬ঃ৯২)।
এই কুরআনের যেমন সম্মান ও মর্যাদা, একে যারা অনুসরণ করবে, তাদের ও সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এটা আল্লাহ তা’আলার ওয়াদা।
এই কুরআন স্বয়ং সম্মানিত ও মর্যাদাবান এবং তা আগমন করেছে তাঁর অনুসারীকে পৃথিবীতে সম্মান ও মর্যাদার আসনে আসীন করার লক্ষে।
পবিত্র কুরআন এটি এমন একটি গ্রন্থ যার মধ্যে পৃথিবীর সকল মানুষের হেদায়াত,শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি, যুদ্ধনীতি, বন্দিনীতি, স্বরাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ জ্ঞান -বিজ্ঞানের সকল শাখারই উন্নত, বাস্তব সম্মত, যুগোপযোগী নীতিমালা বিবৃত হয়েছে পবিত্র আল-কুরআনে।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ ” ইয়াসিন, বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ”।-(সূরা ইয়াসীন-৩৬ঃ১-২)।
পবিত্র কুরআন ও কুরআনের নির্দেশাবলী সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। কুরআনকে বারবার পাঠ করলেও মনে বিরক্তি আসেনা, বরং যতই বেশী পাঠ করা যায়, ততই তাতে আগ্রহ বাড়তে থাকে।
কুরআনের সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা গ্রহণ করেছেন। কিয়ামত পর্যন্ত এর মধ্যে বিন্দু বিসর্গ পরিমাণ পরিবর্তন-পরিবর্ধন না হয়ে তা সংরক্ষিত থাকবে।
তাই এক কথায় বলা যায় যে, আল-কুরআন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্হা। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ” আল্লাহ তা’আলার এ কুরআন তোমাদের পক্ষে বা বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ “।-(মুসলিম শরীফ)।
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো এই কুরআনের প্রতি ঈমান আনা ও সম্মান প্রদর্শন করা। থেমে থেমে তারতীলসহ তিলাওয়াত করা। উপদেশ গ্রহণ করা ও মর্মানধাবনে মনোনিবেশ করা। কুরআনের হুকুম মানা, আমল করা। কুরআনের বাণী প্রচার করা, কুরআন অন্যের নিকট পৌঁছানো। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন। -আমীন।
—-খতীব আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী,পিলখানা,ঢাকা।