প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার,১০ ডিসেম্বর ২০২০ইং ।। ২৫শে অগ্রাহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)। ২৪শে রবিউস-সানি,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : লৌহজং সংবাদদাতা : স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো এখন পুরোপুরি দৃশ্যমানের পথে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে আর মাত্র একটি স্প্যান বসানোর কাজ বাকি। পদ্মাসেতুর সর্বশেষ অর্থাৎ ৪১তম স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। এটি বসানো হলেই দৃশ্যমান হবে ছয় হাজার ১৫০ মিটারের পুরো সেতু। সংযোগ হবে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত। ৪০তম স্প্যান বসানোর ছয়দিনের মাথায় এ স্প্যানটি বসানো হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে সেতুর শেষ স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মূল নদীতে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অবস্থিত ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হচ্ছে ৪১তম স্প্যান ‘টু-এফ’।
তিনি বলেন, কাজের গতি এগিয়ে রাখতে গতকালই ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটিকে বহন করে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে রাখা হয়। গতকাল বিকেল ৫টা ৫ মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ নামের ভাসমান ক্রেনটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করে রওনা দেয়। এরপর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে এসে পৌঁছায়।
সবকিছু ঠিক থাকলে আজ দুপুরের আগেই দৃশ্যমান হবে পুরো সেতুটি। সকাল থেকে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই ও শেষ ধাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোট সারাক্ষণ সেখানে অবস্থান করছে। অন্যান্য নৌযানগুলোকে নিরাপদ দূরত্বে চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের আশেপাশে চলাচলকারী নৌযানগুলো যাতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৪০টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পাঁচ হাজার ৮৫০ মিটার অংশ।
৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হবে। সব কয়টি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’