প্রকাশিত:সোমবার,১৪ অক্টোবর ২০১৯ ইং ।। ২৯শে আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :মুন্সিগঞ্জে প্রতিনিধি :পঞ্চবটি থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত মাত্র আট কিলোমিটার রাস্তা। ট্রাফিক জ্যাম এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এইটুকু রাস্তা পার হতে কখনো কখনো ২ ঘন্টাও লেগে যায়। সরু সড়কে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির গাড়ি ঢুকে দুর্ভোগ যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো ঢাকার সাথে অল্পসময়ে ভোগান্তি ছাড়াই যোগাযোগ। দীর্ঘদিনের সেই দাবি আর ভোগান্তি এখন দূর হওয়ার পথে।
জানা গেছে ২ হাজার ৫’শ কোটি টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে ফোরলেন ফ্লাইওভার ও ফোরলেন সড়ক। আট কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুরে নির্মিতব্য শীতলক্ষ্যা সেতু পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ফোরলেন ফ্লাইওভার এবং চরসৈয়দপুর থেকে মু্ক্তারপুর সেতু পর্যন্ত বর্তমান সড়কটি ফোর লেনে উন্নীতকরণ করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রকল্পের নকশা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। চলতি মাসেই সংশ্লিষ্টরা সরেজমিন পরিদর্শন করে নকশা চূড়ান্ত করবেন।
গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সেতু ভবনে এই সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে এই পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫’শ কোটি টাকা। একনেকের সভায় অনুমোদনের পর টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ দৃশ্যমান করা হবে।
সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদৌস, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদৌস জানান, নকশা নিয়ে দুই জেলার সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকদের সাথে সভা হয়েছে। প্রকল্প সম্পর্কে তাদের ধারণা দেয়া হয়েছে। তবে উপস্থাপিত নকশায় চরসৈয়দপুর এলাকায় যেখানে পঞ্চবটি থেকে ফ্লাইওভার এসে সড়কের সাথে মিশে যাবে সেখানটায় সামান্য জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাই এই মাসের মধ্যে সেখানে সেতুমন্ত্রী, সেতু সচিব ও দুই জেলার সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য সরেজমিন পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এরপর নকশা অনুমোদন শেষে সরকারী সকল দাপ্তরিক কাজ শেষে দরপত্র আহবান করা হবে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।