নতুন এমপিদের বরণে যা থাকছে

0
41

প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ,০৩ জানুয়ারি ২০১৯:: বিক্রমপুর খবর::

নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান নিখুঁত করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় সংসদ। শপথ অনুষ্ঠান ও নতুন এমপিদের বরণ করতে ৩০ পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। কে বা কারা কী কী কাজ করবেন তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

শপথ অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়।সংসদ সচিবলয়ের আয়োজনে এ শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।এ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

সচিবালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন।সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহেমদ খান শপথ অনুষ্ঠানে পরিচালনা করবেন।

এ বিষয়ে স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন,নতুন এমপিদের বরণে সংসদ প্রস্তুত।এ জন্য ৩০ ধরনের কাজ করছে সংসদ। কয়েক দিন আগে থেকেই কমিটির মাধ্যমে তাদের বরণের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়,শপথের জন্য নির্ধারিত কক্ষটি ফুল ও নানা রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। সংসদের অতিরিক্ত সচিব এটি সমন্বয় করছেন।সংসদীয় দলের দলীয় প্রধানদের ড্রাইভওয়ের লিফট গেটে অভ্যর্থনা জানাবেন একদল ব্যক্তি।

শুরুতেই কোরআন তেলায়াতের মধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। শপথ নেয়ার পর তাদের ফুল উপহার দেয়া হবে। এ জন্য সংসদ সচিবের কার্যালয়ের সামনের কনফারেন্স রুমে সংসদ সদস্যদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই তাদের চা পরিবেশন করা হবে।সংসদের অতিরিক্ত সচিব এটি সমন্বয় করবেন। শপথ গ্রহণের পর সংসদীয় দলের দলীয় প্রধানদের সিনিয়র সচিবের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাখা বইয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়া হবে।

এরপর সিনিয়র সচিবের কক্ষে সংসদ সদস্যদের ভ্রমণের রুট ফরম পূরণ ও ভাতাদি গ্রহণের নমুনা গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়াও এমপিদের আইডি কার্ডের জন্য ছবি তোলা হবে।সংসদ সদস্যদের ডিপ্লোমেটিক পাসর্পোটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণের জন্য দেয়া হবে।সংসদ সদস্যদের মাঝে সংবিধানের কপি বিতরণ করা হবে।যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের জন্য সংসদের ক্যাফেটারিয়ায় আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে।

সংসদ ভবনের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস অধিশাখার এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজে এবং পরে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। প্রথমে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, পরে জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। মোট ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের নামে গেজেট জারি করা হয়।

বাকি দুটির মধ্যে গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে নির্বাচন হয়নি। এ ছাড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন করতে হবে বলে সেখানে ফলাফল স্থগতি রয়েছে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোট পেয়েছে ৭টি আসন।

বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি। একাদশ সংসদে তারাই বিরোধী দল হতে যাচ্ছে।

বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৮ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করা হয়। তার পরের দিন ৯ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে নির্বাচিত সদস্যরা। আর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ জানুয়ারি।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন