প্রকাশিত: রবিবার,০ ৬ জানুয়ারি ২০১৯ ::বিক্রমপুর খবর::
থাইল্যান্ড উপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
পাবুক গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৫৭০ কি.মি. দক্ষিণপূর্বে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৪৮৫ কি.মি. দক্ষিণপূর্বে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৭১০ কি.মি. দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১,৬২৫ কি.মি. দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গতকাল শনিবার আবহাওয়ার বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকছি সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে চলাচল না করতে বলা হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়- টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সীতাকু-, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নঁওগা, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি শনিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে ২টি তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলাসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা ১২, ময়মনসিংহে ৯, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ৫, সিলেটে ১২ দশমিক ৫, রাজশাহীতে ৯, রংপুরে ১১ দশমিক ৪, খুলনায় ১০ এবং বরিশালে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়,ঝড়ের প্রভাবে থাইল্যান্ড উপসাগরের আশেপাশের এলাকায় অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে এবং ঢেউ আছড়ে পড়ছে। থাইল্যান্ডের পর আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’। আন্দামান পেরিয়ে ‘পাবুক’ মুখ ঘোরাবে মিয়ানমারের দিকে এবং দ্রুত শক্তি ক্ষয় করবে বলে তারা আশঙ্কা করছে।