প্রকাশিত:শুক্রবার,০৯ আগস্ট ২০১৯ ইং ||২৫শে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক:‘বস’!কোরবানির পশুর নাম। ওজন এক হাজার ৪০০ কেজির মতো। ষাঁড় গরুটি গায়েগতরে যেমন নাদুস-নুদুস,দেখতেও তেমন সুন্দর। তেল চিটচিটে শরীর। মাথা ও পায়ের অংশ কালো বর্ণের। এ ছাড়া সারা শরীর ছাই রঙের।
গরুটি রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। গাবতলী পশুর হাটে বুধবার এটি বিক্রি হয়েছে ৩৭ লাখ টাকায়। মালিকের দাবি- বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি দামে আর গরু বিক্রি হয়নি।
১ হাজার ৪৫০ কেজি ওজনের ব্রাহামা জাতের ‘বস’৩৭ লাখ আর একই জাতের ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের ‘মেসি’ বিক্রি হয়েছে ২৭ লাখ টাকায়। দেড় হাজার কেজি ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের ‘টাইটানিক’বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৭ লাখ টাকায়। রাজধানীর মোহাম্ম’দপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত সাদিক এগ্রো থেকে এসব দামে গরুগুলো বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ মো. মাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন,‘সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩৮ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে আমাদের খামারে। গত বছর কোরবানির ঈদে প্রায় ১ হাজার ৩০০টির মতো গবাদিপশু বিক্রি করা হয়েছিল। এবার আড়াই হাজারের মতো গবাদিপশু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘লাইভ ওজন করে বিক্রি করার পাশাপাশি সৌন্দর্য বিবেচনা করেও বিক্রি করা হয় গবাদিপশু। এসব বিবেচনা করে এবার ২০০ কেজি থেকে ৩০০ কেজি ওজনের পশুর দাম প্রতি কেজি ৩৭৫ টাকা,৪০০ কেজি থেকে ৫০০ কেজি ওজনের জন্য প্রতি কেজি ৪২৫ টাকা ও ৫০০ কেজি থেকে ৬০০ কেজি ওজনের জন্য প্রতি কেজি ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
‘বস’রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। মালিকের দাবি-বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি দামে আর গরু বিক্রি হয়নি। এটি গরু বিক্রির রেকর্ড!
গরুটি লালনপালন করেছেন মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাবিক অ্যাগ্রো খামারের মালিক ইমরান হোসাইন। আর কিনেছেন ইসলাম গার্মেন্টসের মালিক শাকির আহমেদ। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের ভাতিজা। ‘বস’কিনতে পেরে খুশি শাকির আহমেদ। তিনি বলেন,‘আল্লাহর রাস্তায় সর্বোচ্চ উৎসর্গ করার জন্য এ ‘বস’গরুটি কিনেছি। সবাই দোয়া করবেন।’
খামারি ইমরান জানান,তার খামারে আরো বড় ধরনের গরু বিক্রি হয়েছে। তবে বসই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এর আগে মেসি বিক্রি হয়েছে ২৭ লাখ টাকায়,টাইটানিক ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
এ খামারে বিক্রির অপেক্ষায় আছে ‘টাইগার’। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। ‘রোজো’র মূল্য হাঁকা হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।
জানা যায়,ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে ২ হাজার ৬৮০টি খামা’র রয়েছে। এসব খামা’রের ১৬ হাজার ৭২৮টি গবাদিপশু কোরবানিযোগ্য। যার মধ্যে ১৪ হাজার ৯৩৭টি ষাঁড়,১ হাজার ৩৯৩টি বলদ ও প্রায় সাড়ে ৬০০ গাভী। ১ হাজার ১৩৭টি ছাগল,১৯১টি ভেড়া ও ৪০টির মতো মহিষ রয়েছে।