প্রকাশিত: শনিবার, ১মে ২০২১ইং।। ১৮ই বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ(গ্রীস্মকাল)। ১৮ রমজান ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :সংক্রমণের দিক থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বিশ্ব রেকর্ড করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জনের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস পাওয়া যায়। ওই দিন মারা যান ৩ হাজার ৪৯৮ জন।
একই সময় রাজধানী নয়াদিল্লিতে করোনায় ৩৯০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। গত বছর করোনা মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা সর্বোচ্চ।
শুক্রবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ভারতে বেড়েই চলেছে। সপ্তাহখানেক ধরে প্রায় প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই বিপর্যস্ত যে, করোনায় মৃত রোগীদের দাহ করার মতো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
পার্ক, পার্কিং লটসহ অন্য খালি জায়গায় এরই মধ্যে অস্থায়ী চিতার বন্দোবস্ত করেছে নয়াদিল্লি প্রশাসন। তা সত্ত্বেও শবদাহের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ঘাটতি মিটছে না। এমন বাস্তবতায় সৎকার কাজের জন্য দিল্লি পুলিশ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আরও জায়গা চেয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন শহরের বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। করোনায় মৃতদের দাহের জন্য জায়গার অভাবে নির্ধারিত নয় এমন শ্মশানগুলোতেও প্রিয়জনদের দাহ করতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। তাই আমরা আরও শ্মশানের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি।’
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল করোনার রোগীতে অনেক আগেই পূর্ণ। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অনেক রোগী ঘরে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারা মুমূর্ষু রোগীরা অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ চিকিৎসাসেবার অভাবে মারাও যাচ্ছেন।
হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে করোনায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ৯ দিন দৈনিক ৩ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
বৃহস্পতিবার সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। এ দিন রাজ্যটির ৬৬ হাজার ১৫৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয় ৭৭১ জনের।
মহারাষ্ট্রের পর কেরালা, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও দিল্লিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।
করোনায় বিপন্ন পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে নির্বাচনি সমাবেশ ও ধর্মীয় উৎসব পালনে বাধা বা নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি।
তবে বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার বিশ্বে সর্বনিম্ন। আর হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহও রয়েছে।
তিনি বলেন, বাইরের দেশ থেকে পাওয়া অক্সিজেনসহ দেশের ভেতরে উৎপাদনের মাধ্যমে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানো হয়েছে।
দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার সকালে ৪০০টির বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি বিমান।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।