ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা বিভাগ: আমাদের অর্জন

0
77
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা বিভাগ: আমাদের অর্জন

লায়লা হাসান

প্রকাশিত :  মঙ্গলবার, ১৪জুলাই ২০২০ইং ।। ৩০শে আষাঢ় ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : জুলাই মাস আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি মাস। কেন প্রিয়? কারণ এ মাসেই আমার অত্যন্ত আপনজনদের অনেকেরই শুভাগমন ঘটেছে এই পৃথিবীতে। কিন্তু এ ছাড়া বিশেষ একটি কারণে এ মাসটি আমার ইচ্ছে পূরণের, আমাদের স্বপ্ন পূরণের আর দীর্ঘদিনের লড়াই বাস্তবায়নের মাস। ২০১৪ সালের জুলাই মাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। ২০০৯ সালে আমাদের গৃহীত উদ্যোগ আর আন্দোলন ২০১৪ সালে এসে বিজয়ের চূড়া স্পর্শ করেছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার (বানৃশিস) দীর্ঘ ছয় বছরের লড়াইয়ের ফলাফল। ২০০৯-২০১২ সাল পর্যন্ত আমি ছিলাম বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি। এরপর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নৃত্যশিল্পী মীনু হক। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা নৃত্যশিল্পীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলাম, জাতীয় পাঠ্যক্রমে নৃত্য বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নানা কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়েছে। দেশের প্রধান প্রধান স্কুল-কলেজগুলোতে ‘নৃত্যকে জানো’ শীর্ষক বক্তৃতা-সেমিনার ও নৃত্য পরিবেশনা থেকে শুরু করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, শিক্ষা ও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে দাবিদাওয়া উত্থাপন এবং জাতীয় শিক্ষা কমিশন প্রতিবেদন তৈরির সময় বেশ কয়েক দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। আমাদের প্রধান দাবি ছিল সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য সুষ্ঠু সংস্কৃতির বিকাশ। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা কমিশন প্রতিবেদনে নৃত্যকলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আশানুরূপ সাড়া পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা যৌথভাবে একটি সেমিনার আয়োজন করে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সহ-উপাচার্য হারুন অর রশিদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ অন্য শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জোর দাবি জানিয়েছিলাম নৃত্যকলা বিষয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা হোক। এ বিষয়ে তৎকালীন গণমাধ্যমে বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করেছি আমরা।

এ তো গেল আনুষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞের কথা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কত যাওয়া-আসা, তৎকালীন উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে কত বৈঠক, বিভিন্ন সভায় যোগদানের অনুরোধপত্র বিভাগীয় প্রধানদের কার্যালয়ে দিয়ে আসা, তাঁদের অসাক্ষাতে দরজার তলা দিয়ে চিঠি পৌঁছে দেওয়া আবার মোবাইলে স্মরণ করিয়ে দেওয়া…কাজের কী আর শেষ আছে! আর এই গোটা উদ্যোগে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার বিশাল শিল্পী-কর্মী বাহিনী দিন–রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। সাজু আহমেদ, মীনু হক, শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, আমানুল হক, তামান্না রহমান, শেখ মেহেদী, দীপা খন্দকার, মাহফুজুর রহমান, আনিসুল ইসলাম হিরু প্রমুখ যুক্ত ছিলেন। বিশাল কর্মঠ এই দলের অনেকের নাম হয়তো বাদ পড়ে গেল, কিন্তু তাঁদের সবার ঐকান্তিক পরিশ্রমেই আমাদের আন্দোলনটি ছয় বছর পর সফলতার মুখ দেখেছে।

একই দাবি নিয়ে আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সভা করেছিলাম। নানা সভা-বৈঠক আর উপর্যুপরি আলোচনার পর একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে এবং কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে জন্ম নেয় নৃত্যকলা বিভাগ। কলা অনুষদের অধীনে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই বিভাগ।

সব আরম্ভেরই একটি আরম্ভ আছে। আমাদের এই নৃত্য বিভাগের গোড়া পত্তনের মূলে যাঁকে আমরা সার্বক্ষণিক সাথি, উপদেষ্টা অভিভাবক ও পরামর্শদাতা হিসেবে পেয়েছি, তিনি হলেন তৎকালীন নাট্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইস্রাফিল শাহীন। তাঁর আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এই অর্জন সম্ভব ছিল না। এরপর এলেন রহমত আলী। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম নাট্যকলা বিভাগের মাধ্যমে আমরা এগোব। কিন্তু কাজটি সহজ হলো না বলেই আমরা সংগীত বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান মৃদুল কান্তি চক্রবর্তীর শরণাপন্ন হলাম। কত দিন মৃদুলের সঙ্গে বৈঠক করেছি, নানা পরামর্শ নিয়েছি কী করতে হবে, কোন পথে এগোব ইত্যাদি। ২০১১ সালের ১৫ আগস্ট মৃদুলের জীবনাবসান হয়। বিভাগের পরবর্তী প্রধান হলেন কুহেলী ইসলাম। তাঁর সঙ্গেও অনেক আলোচনা হলো। শাহীনের পরামর্শমতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী ও বিশ্বজিৎ ঘোষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের হারুন অর রশিদ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের আনোয়ার হোসেন প্রমুখ শিক্ষকেরা সে সময়ে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আর তৎকালীন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কথা তো আগেও উল্লেখ করেছি। তিনি অম্লানবদনে আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হওয়ার কারণে এবং রাজপথের নানা আন্দোলন-সংগ্রামের সূত্রেও তাঁরা সবাই আমার ঘনিষ্ঠজন। দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে ঘুরে কাজগুলো করতে হয়েছিল তখন। নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি হিসেবেও কাজগুলো আমার ওপরই বর্তায়।
লায়লা হাসান। ছবি প্রথম আলোআমাদের এই লড়াইয়ের শেষ রক্ষাকারী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমেদ। এক বৃষ্টিস্নাত সকালে আমরা সদলবলে তাঁর দ্বারস্থ হয়ে দীর্ঘক্ষণ সভা করলাম। আমাদের কাজের অগ্রগতি সম্বন্ধে তাঁকে জানালাম। তিনিও বিষয়গুলো আগে থেকেই জানতেন। অবশেষে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হলাম।
বিভাগ তো হলো, এবার অর্থ! অর্থ বরাদ্দ না হলে তো কার্যক্রম শুরু হবে না! তখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। প্রথমে তিনি বাজেট স্বল্পতার কারণে বরাদ্দ দিতে না চাইলে আমরা বেশ জোর গলায় দাবি তুললাম। অবশেষে তিনি মঞ্জুরি কমিশন থেকে আমাদের অর্থ বরাদ্দের বন্দোবস্ত করলেন।
প্রতিটি অর্জনে সহযোগিতার কথা যেমন স্মরণ রাখতে হয়, তেমনি অসহযোগিতার ঘটনাগুলোও মনে রাখা দরকার। নৃত্য বিভাগ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমি বারবার অধ্যাপক জামিল আহমেদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করি। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চাইলেও তিনি অনুমতি করেননি। একসময় তাঁর অসাধারণ মেধা আর সৃজনশীলতা দিয়ে তিনি আমার নৃত্যানুষ্ঠানের সেট নির্মাণ করেছেন। আরেকজনের ব্যবহারে আমরা খুব মর্মাহত হয়েছিলাম, তিনি কলা অনুষদের তৎকালীন ডিন সদরুল আমীন। অবশেষে বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলো এবং এর বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন স্বনামধন্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

নৃত্যকলা অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ঠ একটি শিল্পমাধ্যম। নৃত্য জীবনের কথা বলে, আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, নারীমুক্তি আন্দোলন, মানবাধিকার অত্যন্ত সরবভাবে নৃত্যকলায় উঠে এসেছে। ফতোয়াবাজবিরোধী, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদবিরোধী আন্দোলনে নৃত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই পাঠ্যসূচির মাধ্যমে সঠিকভাবে এর শিক্ষা প্রদানও অত্যন্ত জরুরি। এ তাগিদ থেকেই বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্য বিভাগ চালুর বিষয়ে আমরা এখনো কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের বারবারই বলা হয় স্থান সংকুলান হবে না। প্রতিবারই আশ্বাস পাই সামনের বছরে হবে কিন্তু আজ পাঁচ-সাত বছর কেটে গেল, সামনের বছর আর আসে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা নৃত্য বিভাগ চালুর বিষয়ে আলোচনা করছি কিন্তু ভাগ্যের শিকে আর ছিঁড়ছে না! স্থানের অভাবের কথাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের বলেছিল, কিন্তু আমরা জায়গা করে নিয়েছি। প্রশাসনের ঐকান্তিক সহযোগিতা থাকলে আমরা নৃত্যশিল্পীরা সে ব্যবস্থা করতে পারব বলে আশা করি। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। চলবে অবিরাম।

========== লায়লা হাসান ===========

বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশের পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, কোরিওগ্রাফার, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী লায়লা হাসান এর পৈত্রিক নিবাস টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেশনাল গ্রামে ।  ১৯৪৭ সালের ৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন লায়লা হাসান। মায়ের নাম লতিফা খান, বাবার নাম এম এ আউয়াল। বাবা কোয়াপারেটিভ কলেজের ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। মা ছিলেন কাস্টমস এর কর্মকর্তা। এম এ আউয়াল অবসরে বাঁশি বাজাতেন, আর লতিফা খান সেতার।

বাংলাদেশের বিখ্যাত পল্লী সঙ্গীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ তাঁর নাম রেখেছিলেন রোজি। সৈয়দ হাসান ইমাম কে বিয়ের পর থেকে লায়লা নার্গিস থেকে হলেন লায়লা হাসান।

লায়লা নার্গিস এর ছোটবেলা কাটে ঢাকার টিকাটুলি এলাকায়। একটু বড় হবার পর মায়ের বদলির চাকরির কারণে নানা, নানি, মামা, (বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ খান সরোয়ার মুরশিদ), মামি, (রাজনীতিবিদ নুরজাহান মুরশিদ), মামাতো ভাই বোনের যৌথ পরিবারে বড় হন তিনি। তখন পুরো টিকাটুলি পাড়াটির ছিল এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ওখানে থাকতেন সুফিয়া কামাল, মোদাম্বের হোসেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রমুখ। এসব মানুষদের সন্তানদের সাথে রামকৃষ্ণ মিশনে, গোলাপবাগে ফুল কুড়িয়ে শৈশব কাটে লায়লা নার্গিসের।

লায়লা নার্গিস রোজীর নৃত্যজীবন শুরু হয় মাত্র দু’বছর বয়সে।প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী মণিবর্ধন মহাশয়, অজিত সান্যাল, বাবু রাম সিংহ, জিএ মান্নান এবং শমর ভট্টাচার্য্য প্রমুখের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করেন। স্টেজে নাচলে দেখা যায় না বলে আরেকটা টেবিল এনে তার ওপরে দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো। সেই থেকেই শুরু। বিদ্যালয় জীবন শুরু করেন নারীশিক্ষা মন্দিরে, পরবর্তীকালে কামরুন্নেসা স্কুলে। নাচ শিখতেন বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে। সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের পর ভর্তি হন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। তবে পড়াশুনার সাথে নাচ চলেছে একই ছন্দে। চলেছে রেডিও নাটকে অভিনয়।

১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্রের নায়ক সৈয়দ হাসান ইমামকে বিয়ে করেন লায়লা। শুরু হয় এক ছন্দবদ্ধ যুগলবন্দীর। লায়লা নার্গিস হয়ে যান সবার প্রিয় লায়লা হাসান। নতুন পরিবারের অনুপ্রেরণায় গতিময় হয় সংস্কৃতির সঙ্গে পথচলা। একে একে কোল জুড়ে আসে ৩টি সন্তান। কিন্তু সন্তান, শ্বাশুড়ি, স্বামীসহ যৌথ পরিবারের বহু কাজের মাঝেও নাচের মহড়া, টিভি নাটক, এমনকি কিছুদিন মঞ্চ নাটকও চলতে থাকে। সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হয়েও বিদেশে গিয়েছেন বহুবার। বর্তমানে খেলাঘরের সংগঠক হয়ে কাজ করছেন তিনি।

অগণিত সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি ও পুরস্কার পেয়েছেন লায়লা হাসান। একুশে পদক প্রাপ্তি এনে দেয় রাষ্ট্রীয় সম্মান। একুশে পদকে প্রাপ্ত সব অর্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্য বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করে বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কার্যক্রমে দান করেন। নানা সংগঠনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে নিজেই চালাচ্ছেন নটরাজ নামে একটি নৃত্য শেখার সংগঠন। এছাড়াও নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপণ পর্ষদের কর্ণধার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন এই গুণী শিল্পী।

দুই মেয়ে এবং এক ছেলের মা লায়লা হাসান।

লায়লা হাসান বিক্রমপুরের সামাজিক সংগঠন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পর্ষদ এর সহসভাপতি।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..      

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন