প্রকাশিত:সোমবার,২৮ জানুয়ারি ২০১৯।
বিক্রমপুর খবর::অনলাইন ডেস্ক:২৯ বছর পর অবসান হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নিয়ে অচলাবস্থা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ১১ মার্চ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর নির্বাচনী সুবাতাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে, চায়ের আড্ডায় সর্বত্রই একই আলোচনা ডাকসু নির্বাচন। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে কিনা বা হলে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে শঙ্কা রয়েছে। শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হলের বাইরে ভোটকেন্দ্রসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল অধিকাংশ সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রণয়নে দাবি দাওয়া না মানলে নির্বাচন অংশগ্রহণ করা নিয়ে পুনরায় ভাববেন তারা। নির্বাচন নিয়ে বাধা আসার সম্ভাবনা আছে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকেও।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনের কর্মযজ্ঞে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকা ডাকসু নির্বাচন এবার দেখতে চান তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু হলো মিনি পার্লামেন্ট। এই নির্বাচনই সারাদেশে বার্তা দেবে। শিক্ষার্থীরা কিধরণের নির্বাচন ও প্রার্থীকে পছন্দ করেন। এছাড়া ডাকসু নির্বাচন হলেও সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দরজাও খুলে যাবে। ফলে তৈরি হবে মেধাবী ও যোগ্য ছাত্র নেতৃত্ব। যারা পরবর্তীতে জাতীয় নেতৃত্বে ভূমিকা রাখবে। তারা বলেন, এবার যদি নির্বাচন না হয় তাহলে এ নিয়ে একটি খারাপ ধারণা জন্ম নিবে এবং সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মুতি আসাদ বলেন, দীর্ঘদিন পরে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেট থেকে শুরু করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজগুলো মূলত ডাকসু কেন্দ্রীকই পরিচালিত হয়ে থাকে।তাই ডাকসুকে আবার সচল করা গেলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সামাজিক সংস্কৃতিক কার্যাবলি গতি লাভ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রণয়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত সংশ্লিষ্ট কমিটি ইতোমধ্যেই জমা দিয়েছে প্রস্তাবনা। পরিষ্কার করা হচ্ছে ভিপি, জিএস বসার কক্ষসহ ডাকসুর ঐতিহাসিক ভবন। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড.এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন,ডাকসু নির্বাচনের কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য যতটুকু প্রস্তুতি দরকার সব প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আছে। সহাবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহাবস্থান রয়েছে। এর বাইরে যে যখন সহযোগিতা চাচ্ছে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। ডাকসু নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ মনে করছি না বরং এটা আমাদের দায়িত্বের অংশ।