প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯।। ৩০শে আশ্বিন,১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর: অনলাইন ডেস্ক: কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী টাইফুনে জাপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন অবস্থায় ছিল, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়ার আশাও ফুরিয়ে আসছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টাইফুন হাগিবিস জাপানের প্রধান দ্বীপ হনশুর পূর্ব উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এরপর থেকে প্রায় তিন দিন ধরে ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ফিলিপিন্সের তাগালোগ ভাষার শব্দ ‘হাগিবিস’ মানে ‘গতি’, এর আঘাতে ২০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। এটিকে গত ৬০ বছরের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দুর্যোগ আঘাত হানার তিন দিন পরও প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার বাড়ি পানিবিহীন ও ২৪ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। শীতের আগমনে উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে যেতে থাকায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
রাজধানী টোকিওর উত্তরে ফুকুশিমা অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে আবুকুমান নদীর বাঁধ অন্তত ১৪টি স্থানে ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ফুকুশিমায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক মা ও তার শিশুসন্তানও রয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে। ওই নারীর আরেক সন্তান নিখোঁজ রয়েছে।
বেঁচে যাওয়া লোকজন জানিয়েছেন, রাতে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে পানি বেড়ে বুক সমান উচ্চতায় উঠে যায়, এতে নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
ফুকুশিমায় মৃতদের বেশিরভাগই প্রবীণ বয়সী বলে এনএইচকে জানিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া লোকজনের খোঁজে পুলিশ ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে।
টাইফুনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সতর্ক করেছেন।