টঙ্গীবাড়িতে দুই মৌসুমেই হচ্ছে ভূট্রা চাষ , ধানের চেয়ে লাভ বেশি

0
69
টঙ্গীবাড়িতে দুই মৌসুমেই হচ্ছে ভূট্রা চাষ , ধানের চেয়ে লাভ বেশি

প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০ ইং ।। ২১ই জ্যৈস্ঠ  ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।।

বিক্রমপুর খবর : আবু বাক্কার মাঝি টঙ্গীবাড়িত প্রতিনিধি : ভূট্রা চাষ ধানের চেষে লাভ জনক হওয়ায় টঙ্গীবাড়িতে দুই মৌসুমেই চাষাবাদ হচ্ছে। রবি ও খরিক মৌসুমে ভূট্রা চাষ হচ্ছে। রবি মৌসুমের তুলনাম খরিক মৌসুমে অথাৎ আলু উত্তোলনের পর জমিতেই বেশি ভূট্রা চাষ হয়েছে টঙ্গীবাড়িতে। আলু উতোলনের পর জমিতে ভূট্রা চাষাবাদে খরচ খুবই কম। জমি প্রস্তুত থাকে, জমিতে অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন হয় না। তাছারা আলু উত্তোলনের পর অধিকাংশ জমিই পতিত থাকে পরবর্তী আলু রোপনের আগ পর্যন্ত। বর্তমানে ভূট্রার ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া ভূট্রা বাজারজাত করন সহজ হয়ে ভূট্রার বহুবিধ ব্যবহার হওয়ার ভাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। বুধ বার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষকের জমিতে খরিক মৌসুমে ভূট্রার ক্ষেতে সবুজের সমারোহ দক্ষিনা বাতাসে গাছ গুলো দুলছে। উপজেলার আড়িয়াল বাজারের উত্তর পাশে বিলে দেখা যায় ৯০% জমিতেই ভূট্রার আবাদ। কৃষকরা আগাছা পরিস্কার নিয়ে ব্যস্থ সময় পার করছে।
পোল্ট্রি খাত, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাদে ফিডের জন্য ৫০% ভূট্রার ব্যবহার হয়ে থাকে।
স্থানীয় কৃষক হোসেন হাওলাদার জানান- ১ বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন খরচ প্রায় ১২ হাজার টাকা আর ভূট্রায় তা ৫ হাজার টাকা আর ১ বিঘা জমির ধান বিক্রি হয় ১৩ হাজার টাকা আর ভূট্রা বিক্রি হয় ১৫ হাজার টাকা তাতে ধানের চেয়ে ভূট্রাই ভাল।
তাছাড়া ভূট্রার সঙ্গে অন্যান্য ফসল দেখা মেলে ঢেরস, ডাটা, বাঙ্গি, চিনাল ইত্যাদি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান- অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর টঙ্গীবাড়িতে ভূট্রা চাষ বেশি হয়েছে। সরকারী ভাবে ভূট্রা বীজ বিতরন হওয়ার পর আমরা নিয়মিত মনিটরিং করে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ায় তারা চাষাবাদে আগ্রহী হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন