প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০ইং ।। ৩০শে শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :
কোরআনুল কারীমের প্রতিটি সূরা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সূরা কাহফেরও আছে বেশকিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। নবীজি (সা.) প্রতি জুমার দিন এ সূরা তিলাওয়াত করতেন। এর রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন উপকারিতা। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তাকে দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়টাতে নূর দান করা হবে।’ [সহীহ আল-জামে, হাদীস নং : ৬৪৭০]
সূরা কাহফ কোরআনুল কারীমের অন্যতম ঘটনাবহুল সূরা। এই সূরা তিলাওয়াতের পাশাপাশি অর্থের দিকে খেয়াল করলেও অনেক শিক্ষা অর্জন হয়। প্রতি সপ্তাহে একবার তিলাওয়াত করলে, বছরে বায়ান্নবার। এর শিক্ষণীয় ঘটনাগুলো একেকটি বছরে বায়ান্নবার চিন্তায় ঘুরপাক খাওয়া মানে, নিজের মধ্যে বিরাট সংশোধনী চলে আসা।
এই সূরার বিস্ময়কর দিক হলো, কেউ মুখস্থ করতে চাইলে, দ্রুত মুখস্থ হয়। সবার অভিজ্ঞতা এক নাও হতে পারে। চেষ্টা করে সূরাটা মুখস্থ করে নেওয়া যেতে পারে। সম্ভব হলে দুয়েকবার তরজমা ও তাফসিরও পড়ে নিতে পারি। এতে দুনিয়াতেও লাভ, আখেরাতেও লাভ।
দুনিয়াতে শিক্ষা দেবে, দাজ্জাল থেকে বাঁচাবে। আখেরাতে নূর দান করবে। হযরত আবুদ্দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ রাখা হবে।’ [তাখরীজুল মুসনাদ লি-শুয়াইব আল-আরনাঊত, হাদীস নং : ২৭৫৪০]
দাজ্জাল থেকে বাঁচানোর অর্থ শুধু এই নয়, মূল দাজ্জাল থেকে বাঁচাবে। মূল দাজ্জালের পাশাপাশি দাজ্জালের আনুষঙ্গিক ক্ষতি থেকেও বাঁচাবে, ইনশাআল্লাহ।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..