চলে গেলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী বিক্রমপুরের মিজানুর রহমান শেলী

0
155
প্রকাশিত:সোমবার,১২ আগস্ট ২০১৯ ইং ||২৮শে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের মন্ত্রী রাজনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক লেখক মিজানূর রহমান শেলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার ঈদের দিনের দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শেলীর মৃত্যুর খবর তার ছেলে আরিফ ইবনে মিজান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

মিজানূর রহমান শেলীর ছেলে আরিফ ইবনে মিজান বলেন,গতমাসে স্ট্রোক করেছিলেন তার বাবা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন,শ‌নিবার শেলীকে বিএসএমএমইউ‌ আই‌সিইউ‌তে নিয়ে আসা হয়। আজ দুপুর সোয়া‌ ২টায় রেস‌পি‌রেট‌রি ফেই‌লিউর হ‌য়ে তি‌নি মারা যান।মিজানূর রহমান শেলীর মরদেহ এখন রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে বলে জানান আরিফ। বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হতে পারে।

আরিফ ইবনে মিজান ছাড়াও তাহমিদ ইবনে মিজান নামে আরও এক সন্তান রয়েছে মিজানূর রহমান শেলীর । ২০১৬ সালে তার স্ত্রী সুফিয়া রহমান মারা যান।

প্রসঙ্গত মিজানূর রহমান শেলী আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। শেলী বেসরকারি গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ,বাংলাদেশের (সিডিআরবি) প্রধান ছিলেন।

সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মিজানূর রহমান শেলীর জন্ম ১৯৪৩ সালে,বিক্রমপুরের সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে।

শিক্ষকতা ছেড়ে ১৯৬৭ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন শেলী। চাকরিতে থাকা অবস্থায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পিএইচডি করেন।

সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক থাকা অবস্থায় ১৯৮০ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন শেলী। পরে এইচএম এরশাদ সরকারের তথ্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

সাপ্তাহিক ‘সচিত্র স্বদেশ’এর উপদেষ্টা সম্পাদক এবং ইংরেজি দৈনিক ‘বাংলাদেশ টাইমস’ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেলী বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখতেন। সমাজবিজ্ঞান ও রাজনীতি বিষয়ক বই ছাড়াও কবিতা,উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন তিনি।

মিজানূর রহমান শেলীর স্ত্রী সুফিয়া রহমান ২০১৬ সালে মারা যান। আরিফ ইবনে মিজান ও তাহমিদ ইবনে মিজান তাদের দুই সন্তান।

আরিফ জানান,তার বাবার মরদেহ আপাতত শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার তাকে দাফন করা হতে পারে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন