প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার,১৫ এপ্রিল ২০২১ইং।। ২রা বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ(গ্রীস্মকাল)।।২ রমজান ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকলেও সেখানে গ্রাহকের উপস্থিতি নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টনসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের উপস্থিতি কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ব্যাংকে আসছেন না।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংক বন্ধ থাকার খবরে গত তিনদিন গ্রাহক বেশি বেশি করে টাকা উত্তোলন করেছে। এছাড়া বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে বের হতে পারছেন না। এসব কারণে গ্রাহকের চাপ কম। তাছাড়া কোভিড-১৯ ভীতি ও মুভমেন্ট পাসের ঝামেলা এড়াতে সাধারণ গ্রাহক ব্যাংকমুখী হচ্ছেন না।
এদিকে ব্যাংকে আসা কর্মীরা জানান, আসার সময় কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে তাদের থামানো হয়েছে। ব্যাংকের পরিচয় দেওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে। তবে স্টাফ বাসে যারা এসেছেন তাদের সমস্যা না হলেও ব্যক্তিগত গাড়িতে আসার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা করতে হয়েছে বেশি।
কমলাপুর থেকে সোনালী ব্যাংকে আসা এক গ্রাহক বলেন, ব্যাংক খোলা আছে শুনে এফডিআর এর টাকা জমা দিলাম। কোনো লাইন ধরতে হয়নি। কারণ আমি একাই ছিলাম।
ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, আজ গ্রাহক কম আসার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো ‘লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ এমন খবরে তারা আগেই টাকা উত্তোলন করেছেন, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করেছেন। তাছাড়া রাস্তায় বের হতে মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন হচ্ছে, রাস্তায় চেকপোস্ট বসেছে।
পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার গতকাল রেকর্ড হয়েছে সব মিলে রোজায় বাড়তি ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য হয়তো গ্রাহকের উপস্থিতি নেই। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’