খরচ ও সময় কমাতে জুনেই চালু হচ্ছে জমির ই-মিউটেশন

0
99

প্রকাশিত:সোমবার,১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ::বিক্রমপুর খবর::অনলাইন ডেস্ক::

নাগরিকদের সময় ও খরচ কমাতে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই সারাদেশে জমির ই-মিউটেশন (নামজারি) শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।ইতোমধ্যে ৩৪৫টি সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।শিগগিরই ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ মাধ্যমে নামজারি করা হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে,ই-মিউটেশন চালুর পর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৮ রকম জমির কাগজপত্র স্ক্যান করে ই-মিউটেশন করা যাবে। দেশের অনেক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চালুর চেষ্টা করছে ভূমি মন্ত্রণালয়। যদিও মন্ত্রণালয়ে এ কাজের জন্য প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব আছে। তবে এই সেবা চালু করা গেলে নাগরিকরা খুব সহজে ও অল্প সময়ে জমির নামজারি করতে পারবেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ইতোমধ্যে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের খরচ কমাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ‘স্বল্প সময়’র পরিবর্তে ‘নির্ধারিত সময়’ উল্লেখ করে সংশোধিত পরিপত্র জারির অনুরোধ করেছে।এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের নোটিশের বিপরীতে নামজারির তথ্য জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সংগ্রহ এবং এ কার্যক্রম মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ে দপ্তরগুলো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন,‘আমরা খুব শিগগির সারা দেশে ই-মিউটেশন কার্যক্রম শুরু করবো।ফলে নাগরিকদের আর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে জমির নামজারি করতে হবে না।ঘরে বসেই ইন্টানেটের মাধ্যমে যেকেউ এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।’

তিনি আরো বলেন,‘ই-মিউটেশন চালু করতে পারলে কাগজ পেতে বর্তমানের (৪৫ দিন) চেয়ে কম সময় লাগবে।ফলে একটা স্বচ্ছ, দক্ষ এবং জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য সারাদেশে ই-মিউটেশন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

প্রসঙ্গত,বর্তমানে ভূমি ইউনিয়ন অফিস থেকে নাগরিকরা মিউটেশনের কপি সংগ্রহ করতে পারেন। এজন্য সর্বোচ্চ ৪৫ দিন এবং মহানগরীয় বাসিন্দাদের জন্য ৬০ কার্যদিবস সময় লাগে।আবেদন ফি জমা দিতে হয় মাত্র ২০ টাকা।তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিউটেশন সেবা দিতে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

নামজারির জন্য জমির খতিয়ানের সাটিফাইড কপি,নামজারি জন্য নাগরিকদের মূল দলিলের ফটোকপি,ওয়ারিশদের সনদসপত্র,জমির চৌহদ্দির ফটোকপি,সর্বশেষ জরিপ ফটোকপি,ভূমি উন্নয়ন করের ফটোকপি প্রয়োজন হয়।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন