প্রকাশিত: শনিবার,২১ নভেম্বর ২০২০ইং ।। ৬ই অগ্রাহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।। ৫ই রবিউস-সানি,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : মাশরুম দিয়ে তৈরি একটি পদ যেটি জাপানে শরৎ মৌসুমে খাওয়া হয়ে থাকে। এটি কেবল একটি সসপ্যানে ভাত এবং অন্যান্য উপকরণ একসাথে রান্না করে সহজেই তৈরি করা যায়, যা শরতের স্বাদ ও গন্ধ এনে দেয়।
উপকরণ(4 জনের জন্য)
৩০০ গ্রাম চাল (জাপানি বা অন্যান্য ছোট দানার চাল হলে ভাল হয় যা রান্নার পরে আঠালো হয়)
১০০ গ্রাম শিমেজি বা বোতাম মাশরুম
২ টি শিইতাকে মাশরুম
৮০ গ্রাম মিষ্টি আলু
৫০ গ্রাম গাজর
২ টেবিল-চামচ সয়াসস
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে চাল ভাল করে ধুয়ে নিন। ৩০০ গ্রাম চাল একটি ঝাঁঝরিতে রাখুন এবং পানি ভর্তি পাত্রে ডুবিয়ে দিন। হাত দিয়ে বেশ কয়েকবার ঝাঁঝরির চারিদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ঝাঁঝরি জল থেকে তুলে নিয়ে চাল হাত দিয়ে ভাল করে কচলে নিন। প্রায় ১০ বার এভাবে কচলে নিন। পাত্রের পানি বদলে নিন এবং ঝাঁঝরি আবার জলের মধ্যে ডোবান ভালভাবে চাল ধুয়ে নেয়ার জন্য। জলের রঙ ঘোলাটে হয়ে আসলে পানি বদলে চাল আরও একবার ধুয়ে নিন। ঝাঁঝরি পানি থেকে তুলে নিন এবং প্রায় ১০ মিনিট ধরে পানি ঝরিয়ে নিন।
একটি সসপ্যানে ৪০০ মিলিলিটার পানি নিয়ে এর মধ্যে চাল রাখুন। প্রায় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে চালের মাঝ বরাবর পানি ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।
শিমেজি বা বোতাম মাশরুমের কাণ্ডের অংশ জড়ো হয়ে থাকা শক্ত অংশ কেটে ফেলে দিন। মাশরুমগুলো আলাদা আলাদা করে নিন। শিইতাকে মাশরুমের কাণ্ড কেটে আলাদা করে ফেলুন এবং টুপির মত অংশ ৫ মিলিমিটার চওড়া করে কেটে নিন। একটি ঝাঁঝরিতে মাশরুম রাখুন এবং দ্রুত একবার ধুয়ে নিন। ঝাঁঝরি ঝাঁকিয়ে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন।
মিষ্টি আলুর উপরিভাগ ভাল করে ধুয়ে নিন। ১ সেন্টিমিটার পুরু গোলাকার করে কেটে নিন এবং তারপর ১ সেন্টিমিটার আকারের ঘনকের মত করে টুকরো করে নিন। রঙ বদলে কালচে আকার যেন ধারণ না করে সেজন্য কাটার সাথে সাথে মিষ্টি আলু পানির মধ্যে ছেড়ে দিন।
গাজরের খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ৪ সেন্টিমিটার লম্বা করে কেটে নিন। এগুলো লম্বালম্বিদিকে পাতলা করে টুকরো করে নিন। কয়েকটি টুকরো একটির উপরে আর একটি রাখুন এবং এক প্রান্ত থেকে শুরু করে সূক্ষ্ম করে কুঁচিয়ে নিন।
সসপ্যানের মধ্যে চাল রেখে এর মধ্যে ২ টেবিল-চামচ সয়াসস দিয়ে নেড়ে নিন। তারপর সবজি এবং মাশরুম চালের উপরে বসিয়ে দিন। নাড়বেন না যেন। সসপ্যানের উপরে ঢাকনা দিয়ে নিন এবং চুলো জ্বেলে আঁচ মাঝারি করে দিন।
পানি ফুটে উঠলে এবং ঢাকনার কিনারা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বাষ্প বের হতে থাকলে, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। তারপর আঁচ কমিয়ে অল্প করে দিন এবং এভাবে আরও ১২ মিনিট সেদ্ধ করুন। এর মধ্যে কখনই ঢাকনা তুলবেন না যেন।
১২ মিনিট পরে চুলো নিভিয়ে দিন। ঢাকনা দেয়া অবস্থায় প্রায় ১০ মিনিট সসপ্যান এভাবে রেখে দিন। তারপর ঢাকনা তুলুন এবং একটি ভেজা কাঠের হাতা দিয়ে সবকিছু বড় করে ৩ বার নেড়ে দিন। তবে, খেয়াল রাখবেন, নিচের ভাত যেন অবশ্যই উপরে উঠে আসে। পদটি এখন পরিবেশনের জন্য তৈরি।
তথ্যকণিকা/টিপস্
জাপানে ঘরোয়াভাবে মাশরুম রান্না
কিনোকো বা ‘মাশরুম’ হচ্ছে এমন একটি শব্দ যা হাইকু কবিতায় শরতকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। শরতে পাহাড়ী এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাশরুম জন্মে থাকে। জাপানে প্রায় ২০০ ধরনের ভোজ্য মাশরুম রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
শরতে দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের মাশরুম চোখে পড়ে। ঘরোয়াভাবে রান্না করার জন্যও রয়েছে হরেক রকমের উপায়। এগুলো ফয়েলে করে বেক করা যেতে পারে কিংবা ফ্রাই করা যেতে পারে, অথবা মিসো এবং সাধারণ সুপের পাশাপাশি পাস্তা জাতীয় পদের মধ্যেও দেয়া যেতে পারে। এমনকি কেউ কেউ পাউরুটির উপরে মাশরুম দিয়ে টোস্ট করে খেতেও পছন্দ করেন।
তথ্যঃ এনএইচকে ওয়াল্ড
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor