করোনাভাইরাসের ঝুঁকি:শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো হাজারো মানুষের ঢল

0
10
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি:শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো হাজারো মানুষের ঢল

প্রকাশিত :বৃহস্পতিবার,২৬ মার্চ ২০২০ ইং ।। ১২ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর :স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান ঝিলু :করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণায় কর্মস্থল বন্ধ হওয়ায় ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী হাজারো মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়াঘাটে। ঈদের ছুটির মতো মানুষজন গ্রামের বাড়িতে রওয়ানা দেয়। কিন্তু শিমুলিয়াঘাটে ফেরি ও ট্রলার ছাড়া সকল নৌযান চলাচল গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভীষণ বিপাকে পড়ে ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা থেকে ভেঙে ভেঙে বাসে করে শিমুলিয়াঘাটে এসে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষ পড়ে চরম ভোগান্তিতে। ঢাকা থেকে শিমুলিয়াঘাটে ৭০ টাকার ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে যাত্রীদের। গতকাল বুধবার সকালে শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকে, বিকেলে তা চরম আকার ধারণ করে। মাওয়া কোস্টগার্ড বড়ো ট্রলারে ২০ জন ও ছোট ট্রলারে ১০ জন করে যাত্রী ওঠানোর মাইকিং করে ঘোষণা দিলেও যাত্রী ও ট্রলার মালিকেরা তা মানতে চাইছে না।

গতকাল বুধবার বিকেলে শিমুলিয়াঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস, লঞ্চ ও সিবোটগুলো অলস পড়ে আছে। ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় আছে পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স। অন্যদিকে ট্রলার চলাচল নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকায় ফেরির চেয়ে মানুষজন পারাপারে ট্রলারকেই বেছে নেন। তাই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ট্রলারে চেপে গন্তব্যে যাত্রা করে। ঢাকার রামপুরা থেকে বরিশালগামী যাত্রী পারভেজ (২৭) পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসতে কয়েকটি বাস বদল করতে হয়েছে। এজন্য আমাকে ভাড়া গুনতে হয়েছে প্রায় তিনশ’ টাকা। কাউসার (৩৫) নামে ভোলাগামী যাত্রীকে করোনাভাইরাসের মধ্যে ঢাকা ছেড়ে কেন যাচ্ছেন প্রশ্ন করলে তিনি জবাবে জানান, ‘ঢাকায় বন্দি থাকার চেয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো অনেক ভালো। ‘শরীয়তপুরের বাসিন্দা সাগর (২৫) অবশ্য এভাবে গাদাগাদি করে মানুষের চলাচলকে সমর্থন না করে বলেন, ঢাকা শহরে থাকা খাওয়ার অনেক খরচ, তাই গ্রামের বাড়িতে থাকাই ভালো।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন