প্রকাশিত: শুক্রবার ২৭ আগস্ট ২০২১ইং।। ১২ই ভাদ্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)।।১৭ই মহররম ১৪৪৩ হিজরী।।
বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক : আজ ২৭ আগস্ট,”জাতীয় শোক দিবস-২০২১”হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কনকসার ইউনিয়ন ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হতদরিদ্র,দুঃস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনকসার ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ বেপারী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কনকসার ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল জলিল মাস্টার।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ দুই আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুর রশিদ শিকদার।যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসান বেপারী,যুগ্ম সম্পাদক শেখ মো.আনোয়ার হোসেন,যুগ্ম সম্পাদক বি.এম শোয়েব।
আরও উপস্থিত ছিলেন,সাবেক লৌহজং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, লৌহজং উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন মোড়লসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া কনকসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাবেক সভাপতি মুনির হোসেন মোড়ল,বর্তমান সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাধারন সম্পাদক নূর নবি মোস্তাক,যুগ্ম সম্পাদক হাজি জিল্লুর রহমান মিঠু দপ্তরী, লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মফিজ শেখ,আতাহার হোসেন ফল মোড়ল,ফজল দপ্তরী,টয়েস বেপারী,মোঃ মিঠু খান,শেখ শাহীন, নাহিদ বেপারী,রাসেল আলম রাজু,জাকারিয়া মোড়ল, শিপন বেপারী সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বৃন্দ।
লৌহজং উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সেলিম মোড়ল,সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খান সাজু,মো.আবু নাসের রতন, মো.হুমায়ুন কবীর খোকা মৃধা,মো.শামীম মোড়ল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লৌহজং উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এবং স্থানীয় সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইতিহাসের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্ররোচনায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের কূটচক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর এক দল বিপথগামী সদস্যের বুলেটের নির্মম আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন প্রাণ হারান তার সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল এবং দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল,বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশু পৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত,আবদুল নঈম খান রিন্টু এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কমকর্তা ও কর্মচারীসহ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন। গোটা জাতির স্বপ্নের রূপকার এ ব্যক্তিত্ব বাঙালির বিশ্বজয়ের মহানায়ক এবং ঐক্য, প্রেরণা ও স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। তার ইস্পাতকঠিন নেতৃত্ব আর অভীক লড়াকু সত্তা বাঙালি জাতিকে দিয়েছে অধিকার আদায়ের অনিঃশেষ প্রেরণা। পাকিস্তানি শাসকদের ধারাবাহিক শোষণ, দমন-পীড়ন, ঔপনিবেশিক লাঞ্ছনা-বঞ্চনা আর দীর্ঘদিনের নির্যাতন-নিপীড়ন-বৈষম্যের অপমান থেকে বাংলার জনগণকে মুক্তির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
১৫ আগস্টের অভিশপ্ত দিনটিতে বাঙালি জাতির ললাটে যে কলংকতিলক পরানো হয়েছিল; দীর্ঘ ৩৪ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সে কলংক থেকে জাতির দায়মুক্তি ঘটে। বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অনুযায়ী ওই দিন মধ্যরাতের পর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। এর মধ্য দিয়ে পিতা হত্যা এবং ষড়যন্ত্র ও অবৈধ ক্ষমতা দখলের ঘৃণ্য ও তমসাচ্ছন্ন অধ্যায়ের অবসান ঘটে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাঙালির বিজয়ের অভিযাত্রাও আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। তবে পুরো জাতি এখনও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধুর বাকি ছয় পলাতক খুনির ফাঁসি কার্যকরের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য।
গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্মরণ করে আজকের এই কনকসার ইউনিয়ন ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আলোচনায় ঐ রাতের নৃশংসভাবে হত্যার বিষয় উঠে আসে এবং তাঁহাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।দোয়া পরিচালনা করেন মোড়ল বাড়ির মসজিদের ইমাম।
উল্লেখ্য আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিন সরকারি ছুটির দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। এছাড়া বিধি সংশোধন করে সরকারিভাবে নির্ধারিত দিন ছাড়া জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার মাধ্যমে দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে পুনর্বহাল করে।
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।