প্রকাশিত: শনিবার,২১ নভেম্বর ২০২০ইং ।। ৬ই অগ্রাহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।। ৫ই রবিউস-সানি,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : ঘাসের চাষ শিখতে বিদেশ যাচ্ছেন ৩২ কর্মকর্তা। এতে প্রত্যেক কর্মকর্তার পেছনে ১০ লাখ টাকা করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য মোট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। ‘প্রাণীপুষ্টির জন্য উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পে এই অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আগামী মঙ্গলবার উপস্থাপন করা হচ্ছে ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার প্রকল্পটি। এছাড়া অডিও, ভিডিও ও চলচ্চিত্র নির্মাণে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়।
প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে এ ধরনের বিদেশ সফরকে দেশের টাকা অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার বলেন, দেশে ঘাস চাষ জনপ্রিয় নয়। ফলে গরুর জন্য আলাদা ঘাসের প্রয়োজন, তা মানুষের ধারণার মধ্যে নেই। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নতমানের ঘাস চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। গরুর দুধ পেতে হলে উন্নত ঘাসের অবশ্যই প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে পুষ্টিগুণসম্পন্ন ঘাস পাওয়ার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বিশ্বের যেসব দেশে অল্প জমিতে অধিক এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন ঘাস উৎপাদন হচ্ছে। তাই এসব চাষাবাদ পদ্ধতি দেখতে এবং টেকনিক্যাল কিছু ব্যাপার থাকায় বিদেশ সফরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. আবদুল জব্বার বলেন, ৩২ জনের মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ৫ জনের মতো কর্মকর্তা থাকতে পারেন। আর বাকিরা পরিকল্পনা কমিশন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এই প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবেন।
তবে এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ঘাসের চাষ শিখতে বিদেশ সফরের আয়োজন হাস্যকর। এ ধরনের ব্যয় প্রস্তাবে প্রশ্ন থেকে যায়।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor