একসঙ্গে ১৬২টি মসজিদ নির্মাণ ইসলামের ইতিহাসে রেকর্ড:ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

0
20

১৬২টি মডেল মসজিদ নির্মাণে সমঝোতা স্মারক সই। ছবি: সংগৃহিত

প্রকাশিত:সোমবার,৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।

বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক:১৬২টি মডেল মসজিদ নির্মাণে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের জমি ব্যবহার সংক্রান্ত এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, সরকারি সহায়তায় একসঙ্গে এতো মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম। ইসলামের ইতিহাসেও এটি রেকর্ড।

‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের জমি ব্যবহারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা-স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, প্রথমে সৌদি সরকার আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিলেও এখন সম্পূর্ণ সরকারি টাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, এদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। মসজিদকে আমাদের ধর্মে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রার্থনার জন্য সবাই মসজিদে একত্রিত হয়। যেখানে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হবে। কোনভাবে দুইবার হবে না, একবারই হবে। কিছু শর্ত নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে আমরা সেগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। সবাই মিলে আলোচনা করলে সমাধান হবে। তবে সেই শর্ত নিয়ে বিস্তারিত বলেননি।’

বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথম দফা বৈঠক শেষে বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে বিশ্ব ইজতেমাকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে। কোনভাবেই এটাকে ভাগ করতে দেওয়া যাবে না। গতবছরও গোলযোগ রাস্তায় এসে গিয়েছিল। আমরা এটা সফলভাবে নিবৃত করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচনে জয়ী হলো সরকার, প্রথম কাজটাই যদি হয় তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না, নিন্দুকের তো আর অভাব নাই। বলবে যে তাবলিগটাই ভেঙে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ইমেজ জড়িত। তাবলিগ জামাত হতে হবে, একসঙ্গে হতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের সঙ্গে জড়িত।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আজকে (রবিবার) সবাই একমত হয়েছি যে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একত্রে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তবে কিছু কিছু কথা আছে সে কারণে আবারও একসঙ্গে বসতে হবে। বয়ান কে করবে- তা নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত হবে।

বৈঠক শেষে মাওলানা সা’দ পন্থীদের পক্ষে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, কোনো কোনো জায়গায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় তাবলিগ জামাতে যাওয়ার জন্য টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়েছে। মাওলানা জোবায়ের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে যে মাওলানা সা’দ আসবে না, এই চিঠি প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।

দিল্লির মাওলানা সা’দ এর ইজতেমায় আসা নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে এবার কয়েক দফা দুই পক্ষকে নিয়ে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদি কোনো পক্ষ বয়কট পরে- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বয়কট করতে দেব না বলেই তো উঠে পড়ে লেগেছি। আমরা সেটি আশা করি না।

এছাড়াও ইজতেমা সাজানোর কাজটি প্রত্যেকবার তাবলিগ জামাতের লোকেরা করলেও এবার সিটি করপোরেশন করবে বলে জানান শেখ আব্দুল্লাহ।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন