প্রকাশিত : শনিবার, ৮ই আগস্ট ২০২০ইং ।। ২৪শে শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : লৌহজং প্রতিনিধি : মহামারীর এই সময়ে স্বজনের সঙ্গে কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে এবার ঢাকায় ফিরছে মানুষ। স্বজনের সাথে ঈদ উদযাপন শেষে শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ঢাকায় ফেরার প্রবেশপথ পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাটে মানুষের প্রচন্ড চাপ লক্ষ্য করা গেছে। ফেরীতে ঢাকামুখী এই মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না।
এখন পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে। সঙ্গে প্রবল স্রোত। এ কারণে ফেরি চলাচল করতে হচ্ছে দ্বিগুণ সময় নিয়ে। আবার পদ্মার অব্যাহত ভাঙনের কারণে সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকছে শিমুলিয়া ফেরিঘাট। বিকল্প পথ হিসেবে কাঁঠালবাড়ীর যানবাহনকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানায়, পদ্মায় অতিরিক্ত ঘূর্ণিস্রোতে শিমুলিয়া ৩ ও ৪নং ঘাটটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর পর থেকেই এই নৌরুটে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। ফেরি চলাচলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লাগায় কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চরম দূর্ভোগের কবলে পড়তে হয় কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। লঞ্চঘাটে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। গতকাল বিকেলে ঘাটের প্রধান পাঁচটি সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার পরিবহনসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। শত শত ট্রাকচালক কাঁঠালবাড়ীর ঘাটে এসে একই দুর্ভোগে পড়েছেন।
পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া শিমুলিয়ায় দুটি ঘাট পদ্মার ভাঙনে বিলীন হওয়ায় সীমিতভাবে ফেরি চলাচল করছে। গত কয়েকদিন ধরে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা পদ্মা পাড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন।
এদিকে ছোট-বড় ২৭টি যানবাহন ও তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে গতকাল বিকেল ৫টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহপরান কাঁঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। ফেরিটি লৌহজং চ্যানেলের কাছে পৌঁছালে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে উজান বেয়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যেতে ব্যর্থ হয়। পরে ফেরিটি পার্শ্ববর্তী একটি চরের কাছে আটকে পড়ে। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন অফিসার আহম্মদ আলী জানান, রো রো ফেরিটি উদ্ধারে শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি উদ্ধার জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..