প্রকাশিত: মঙ্গলবার,২০ অক্টোবর ২০২০ইং ।। ৪ঠা কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।। ২রা রবিউল আউয়াল,১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : লৌহজং প্রতিনিধি : মা ইলিশ রক্ষায় রাতের বেলায় আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে নজরদারি করে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদী থেকে ৯৭টি ট্রলার জব্দ করেছে মাওয়া নৌ পুলিশ। পরে সেগুলো পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযানে জব্দ করা ৬৭ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ছয় জেলেকে।
সোমবার রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত লৌহজং সংলগ্ন পদ্মা নদীর সিধারচর, কলিকালের চর, বাবুরচরসহ বিভিন্ন চর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব জাল-ট্রলার জব্দ ও জেলেদের আটক করে মাওয়া নৌ পুলিশ।
মা ইলিশ রক্ষায় গত বুধবার থেকে নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে কেউ যেন ইলিশ ধরতে না পারেন সেজন্য কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়েছে মাওয়া নৌ পুলিশ।
নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান নেতৃত্বে চালানো অভিযানে অংশ নেয় নৌপুলিশ সুপার (প্রশাসন) সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (ঢাকা অঞ্চল) খন্দকার শরিফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাইয়ুম বসুনিয়া, পুলিশ সুপার মাসুমা আক্তার, মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুর কবিরসহ মৎস্য অফিসের প্রতিনিধি ও পুলিশ সদস্যরা।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ওপর থেকে মনিটরিং করে এসব ট্রলার ও জালের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। রাতভর দুর্গম চারটি চর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে চরে ও নৌকায় রাখা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। রাতেই ট্রলারগুলো নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। আর জব্দ করা কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আটক ছয়জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে অভিযানের সময় ইলিশ ধরতে না পারায় মাছ জব্দ করা যায়নি।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’