প্রকাশিত:শনিবার,১০ আগস্ট ২০১৯ ইং ||২৬শে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক:আজ শনিবার পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। হজের দ্বিতীয় দিনে আজ আরাফাতের ময়দানে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। হঠাৎ করে বৃষ্টিপাত শুরু হলে লাখো হাজি বৃষ্টি থেকে বাঁচতে দৌঁড়াদৌড়ি শুরু করেন। আজ আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা চাওয়ার উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন হাজিরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) আরাফাত ময়দানে হাজির হয়ে কেউ পাহাড়ের ওপর,কেউ নিচে,কিংবা অন্য কোনো সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত শুরু করেন। কিন্তু দুপুর পার হতেই হঠাৎ শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রপাত। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে প্রচণ্ড গরম ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। তারপর বৃষ্টি শুরু হলে হাজিরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। গরমে খুব বেশিক্ষণ কষ্ট করতে হয়নি তাদের। দুপুরের তীব্র রোদের মধ্যেই হঠাৎ আকাশ কালো করে নেমে আসে এক পশলা বৃষ্টি।
অনেকের মতে,গরমের মধ্যে এমন বৃষ্টি আল্লাহর রহমত। বান্দার কষ্ট লাঘবের জন্যই তিনি রোদের মধ্যে বৃষ্টি দিয়েছেন।
বৃষ্টি-বজ্রপাত হলেও হজের আনুষ্ঠানিকতার কোনো পরিবর্তন হবে না। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যাস্তের পর আরাফাত ময়দান থেকে মুজদালিফার ময়দানে যাবেন তারা। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারারাত অবস্থানের পর রোববার (১১ আগস্ট) শয়তানের স্তম্ভে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।
এর আগে গতকাল হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গতকাল সারাদিন মিনা শহরের তাঁবুতে অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের পর থেকে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে মিনার পথে রওনা হন লাখো মুসল্লি।
কেউ বাস বা গাড়িতে,আবার কেউ পায়ে হেঁটেই তাঁবুর শহর মিনায় পৌঁছান। আগামী কয়েকদিন মিনা, আরাফাত,মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করে হজ সম্পন্ন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করছেন প্রায় ২৫ লাখ মুসল্লি। ৮ জিলহজ সারাদিন মিনায় অবস্থান শেষে পরদিন আরাফাতের উদ্দেশে রওনা হন মুসল্লিরা। মুজদালিফায় রাত্রি যাপন শেষে শয়তানকে মারার জন্য পাথর সংগ্রহ করে ১০ জিলহজ আবারও মিনায় ফিরবেন তারা। এরপর জিলহজ মাসের ১১ ও ১২ তারিখে হজের বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা।
উল্লেখ্য,আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ ও নারীর ওপরই কেবল হজ ফরজ। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সুরা আল ইমরানের ৯৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়লা বলেছেন,আল্লাহর তরফ থেকে সেই সব মানুষের জন্য হজ ফরজ করে দেয়া হয়েছে,যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।