‘আমগো অহন কি হইবো?’

0
5
‘আমগো অহন কি হইবো?’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১ইং।।২৫শে চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(বসন্তকাল।। ২৫শাবান ১৪৪২ হিজরী

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় সংরক্ষণে হিমাগারে জায়গা না থাকায় আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। এক শ্রেণির অসাধু আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে লাল মনির হাট, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আলু ক্রয় করে এ উপজেলার হিমাগারগুলোতে মজুদ করে রেখেছে। যার ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা হিমাগারে সংরক্ষণে আলু রাখতে পারছেন না।

এ উপজেলার তিন লাখ ২৭ হাজার ৯৮৭ মেট্রিক টন আলু উৎপাদক হয়েছে। উপজেলায় ৩১টি হিমাগার থাকলেও চালু রয়েছে ২৬টি। অন্য জেলার আলু দিয়ে সম্পূর্ণ ভর্তি রয়েছে হিমাগারগুলো।

আলু চাষী রাজ্জাক হোসেন জানান, চলতি বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় তিন কানি জমিতে আলু রোপণ করছি। এখন আলু উত্তোলন করে নানা জটিলতায় পড়েছি। অনেক কষ্টে ধীপুর ইউনিয়নের নুর কোল্ডস্টোরে কিছু আলু রেখেছি। বাকি আলু জমিতে রয়েছে।

তিনি বলেন, আলু রাখার জন্য অন্যান্য কোল্ডস্টোরে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কোল্ডস্টোরে জায়গা খালি নাই। কোল্ডস্টোর ম্যানেজাররা জানিয়েছেন, অনেক আগেই অগ্রিম ভাড়া নিয়ে আলু রেখে গেছে আলু ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে নূর ও সানোয়ারা কোল্ডস্টোর ম্যানেজার আব্দুছ সাত্তার জানান- দুটি কোল্ডস্টোরে ২০ হাজার মেট্রিকটন আলু রাখার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ জায়গা পুরন হয়েগেছে। এখন আর আলু রাখার জায়গা নেই। প্রত্যেক বস্তার জন্য ১৭০ টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ।

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ চৌধুরী জানান, এ উপজেলার ৩১টি হিমাগারের মধ্যে ২৬টি চালু রয়েছে। দুই লাখ ১২ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ রাখা হয়েছে হিমাগারগুলোতে। ৫টি হিমাগার বন্ধ থাকায় ২২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ রাখতে পারেনি কৃষক।

এছাড়া অন্যান্য জেলার আলু এ উপজেলার হিমাগারে রাখার জন্য কিছুটা বিপাকে পড়েছে কৃষক।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..             

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন